সড়ক পরিবহন খাতের সব কার্যক্রম একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার অধীনে আনার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন।
শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোড সেফটি ফাউন্ডন আয়োজিত ‘সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় টেকসই উদ্যোগ এবং সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রমের জন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, সড়কে নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময় সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়। যেমন, কোনো লোকাল রোড হঠাৎ করেই হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে—কোন ধরনের যান চলবে সেখানে, সে বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। কোথাও সেতু তৈরি হয়েছে, কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। এসব সমস্যা দূর করতে পরিবহন খাতকে একটি ছাতার নিচে আনতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি সড়ক নিরাপত্তা খাতেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে (সওজ) একটি বিশেষ সড়ক নিরাপত্তা ইউনিট গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং এর জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই ইউনিট সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা (ব্ল্যাক স্পট) চিহ্নিত করবে, গতিসীমা সাইনবোর্ডগুলো ঠিকভাবে বসানো হয়েছে কি না এবং সেগুলো কতটা কার্যকরভাবে মানা হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করবে।
সংলাপে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াছীন বলেন, সারা দেশে প্রায় ৬ লাখ যানবাহনের কাগজপত্র এখনো হালনাগাদ হয়নি। এছাড়া প্রায় ৭৮ হাজার যানবাহন ভুয়া নম্বর প্লেট নিয়ে রাস্তায় চলছে, যাদের তালিকা ইতোমধ্যে ডিএমপি ও হাইওয়ে পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুল হামিদ, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল হক, ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রামের পরিচালক আহমেদ নাজমুল হুসাইন, বিআরটিএর সাবেক বোর্ড সদস্য আবদুল হকসহ অনেকে।
সংলাপের সভাপতিত্ব করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।
আরএ/এসএন