জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা মো. সারজিস আলম উচ্চ আদালত সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেওয়ায় সেটিকে বিচার বিভাগের মর্যাদার জন্য হুমকি ও অবমাননাকর হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রধান বিচারপতি এবং জনগণের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শনিবার এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, "রেজিস্ট্রি ডাক এবং হোয়াটসঅ্যাপ—উভয় মাধ্যমেই সারজিস আলমের কাছে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।"
বিএনপি নেতা ইসরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানো এবং ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ।
শুনানির পর বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২২ মে রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন। এই আদেশের পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্টেটাস দেন এনসিপি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক মো. সারজিস আলম। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?’
স্ট্যাটাসটি তুলে ধরে নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনার (সাারজিস আলমকে) স্ট্যাটাসে আপনি রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ অর্থাৎ বিচার বিভাগের প্রতি চরম অবজ্ঞা-অসম্মান প্রদর্শন করেছেন, যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের প্রতি চরম অবমাননাকর এবং তা আদালত অবমাননার সামিল। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এবং বিচার ব্যবস্থা সংবিধান, আইন ও বিচারিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরিচারিত হয়।
আপনার এই স্টেটাস বিচার বিভাগের জন্য সরাসরি হুমকি।’
যে কারণে এই স্ট্যাটাসের বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে সারজিস আলমকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। শুধু তাই না, নোটিশ পাওয়ার দুই ঘণ্ঠার মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীর কাছেও নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে এনসিপি নেতাকে। নইলে উপযুক্ত আদালতে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার কথা বলা হয়েছে নোটিশে।
নোটিশটি পেয়েছেন কিনা জানতে সারজিস আলমকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
আরএ/এসএন