‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল কালেক্টিভ নেতৃত্বের ফসল’

সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা নতুন রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ) প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কোনো একক নেতৃত্ব ছিল না। এটা ছিল কালেক্টিভ নেতৃত্বের ফসল।
শনিবার দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে একথা বলেন।

রাফে সালমান রিফাত তার পোস্টে লেখেন, সাদিক কায়েম, নাহিদ, মাহফুজ, জুনায়েদ কেউ কারোর ইমাম ছিল না। এখানে কোনো একক ইমাম নেই। নেই কোনো একক মাস্টারমাইন্ড। শহিদ-আহতদের ত্যাগের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।

‘একইসঙ্গে এটা ছিল খুনি হাসিনার নিজের হাতের কামাই। ফ্যাসিস্ট, খুনি হাসিনার বিগত ১৬ বছরের যাবতীয় গুম, খুন, জুলুম, নির্যাতন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত ঐক্যমত্যের ফলাফল।’
রিফাত বলেন, ৫ আগস্টের পর নানা প্রকারে একপাক্ষিক বা একক ইমাম নেতৃত্ব আরোপের প্রচেষ্টাতেই অনৈক্য, অবিশ্বাস আর বিভেদ জন্ম নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ড. ইউনুস শুরু থেকে আজ পর্যন্ত গোটা ছাত্র-জনতাকে দেখেছেন মাহফুজ-নাহিদদের লেন্স দিয়ে। ফলে ঐটা হয়েছে কালেক্টিভ নেতৃত্বের ছোট্ট একটা অংশের লেন্স। গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির লেন্স।

ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, কালেক্টিভ নেতৃত্বের বাকিরা তথা সাদিক কায়েম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আলী আহসান জুনায়েদ, সিবগাতুল্লাহ বা ছাত্রদলের রাকিব-নাসিরদের লেন্স সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা এখনও অন্ধকারে।

তিনি আরও বলেন, উত্তাল সেই আন্দোলনের মুহুর্তে সমন্বয়টা কীভাবে হয়েছিল, কার ভূমিকা কী ছিল সেগুলোর প্রকৃত চিত্র ড. ইউনূস কখনও এই মানুষগুলোর মুখ থেকে শোনেন নাই। ছাত্রদের সম্মিলিত শক্তির সাথে তিনি কখনও বসেন নাই।

সবশেষ তিনি লেখেন, ছাত্র-নেতৃত্বের আজকের অনৈক্যের গোড়া সম্পর্কে তিনি অনবগত। ড. ইউনূস যদি একবার সবার সঙ্গে বসতেন তবে বোধ করি গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারী ছাত্রদের সমন্বয়হীনতার এতটা প্রকট সংকট এত দ্রুত তৈরি হতো না।

টিকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পার্শ্ববর্তী দেশের উস্কানিতে আ.লীগের দালালরা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে : খোকন Dec 14, 2025
img
সরকার পতনের তিন মাস পর নেপালে ফের অলির জোয়ার Dec 14, 2025
img
খুলনায় অস্ত্র কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ৩ Dec 14, 2025
img
উত্তরায় জুলাই রেবেলস সংগঠনের এক সদস্যের ওপর হামলা Dec 14, 2025
img

দ্য ডিসেন্টের বিশ্লেষণ

হাদির ওপর হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় সন্দেহভাজন শনাক্ত Dec 14, 2025
img
খালেদা জিয়ার সুস্থতা মানেই গণতন্ত্রের আশা : আজহারুল ইসলাম মান্নান Dec 14, 2025
img
বিদায়ী ম্যাচের আগে জন সিনার হৃদয়স্পর্শী বার্তা Dec 14, 2025
img
পঞ্চগড় সীমান্তজুড়ে বিশেষ সতর্কতা Dec 14, 2025
img
দেশব্যাপী বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫০৬ Dec 14, 2025
img
আহত শান্তিরক্ষীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ Dec 14, 2025
img
সাফল্যের পেছনে ভাগ্য নয়, কর্মই আসল : কাজল Dec 14, 2025
img
ঢাকার ৩ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ Dec 14, 2025
img
একজন মা হিসেবে সচেতন হওয়ার বার্তা দিলেন কোয়েল Dec 14, 2025
img
শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক Dec 14, 2025
img
ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াসে ক্যামিও চরিত্রে আসছেন রোনালদো, ইঙ্গিত ভিন ডিজেলের Dec 14, 2025
img
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Dec 14, 2025
img
লোকদেখানো আবেগের কোনো মূল্য নেই বললেন অভিনেতা Dec 14, 2025
img
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় তারেক রহমানের শোক Dec 14, 2025
img
সুদানে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ Dec 14, 2025
img
দারিদ্র্য আর অশিক্ষা এক নয় বললেন অভিনেতা Dec 14, 2025