‘রাষ্ট্রের স্বার্থেই সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়া উচিত। রাষ্ট্র যন্ত্রের মাঝে লুকিয়ে থাকা একটি চক্র চায় না সাংবাদিকরা সুরক্ষিত থাকুক।’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর।
শনিবার (২৪ মে) বিকেলে রাজধানীর চিড়িয়াখানা রোডে মিরপুর প্রেস ক্লাবের ৩০তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিগত ৫৪ বছরে দেশের অনেক সরকার হাজারো আইন প্রণয়ন করেছেন।
কিন্তু সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য একটি বিধিমালাও প্রণয়ন করেননি। আমরা সব সরকার দেখেছি, তারা কেউই চাননি সাংবাদিকরা ভালো থাকুক, নিরাপদে থাকুক। সাংবাদিকরা অনিরাপদ পরিস্থিতিতে থাকলেই তাদের লুটপাটে সুবিধা হয়। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে করণীয় অনেক।
গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের সংকটময় মুহূর্তে রাষ্ট্রের পক্ষে, রাজনৈতিক দলীয় লেজুড়বৃত্তি ছেড়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের অপরিহার্য অনুষঙ্গ এটি কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম কাদের।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চাটুকার সাংবাদিকরা বিভিন্ন দল গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করে। তারা কখনো জনগণের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করে না। এরা শাসক গোষ্ঠীর মনোরঞ্জনের জন্য সংবাদ প্রকাশ করে।
গণতান্ত্রিক, মানবিক সমাজ গঠন করতে হবে যে সমাজে সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করা হবে।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমিনুল হক, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার ডিন প্রফেসর ড. হানিফ খান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ড. তাওহীদ হাসান, মিরপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকারিয়া, মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ক্ষিলখেত প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্বাধীন প্রমূখ।
সন্ধ্যার পরে বিভিন্ন শিল্পী গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
এসএম/টিএ