বলিউডে অ্যান্টি-হিরো চরিত্রের এক নবতর ব্যাখ্যা দিয়ে যে সিনেমা ১৯৯৩ সালে ঝড় তুলেছিল, সেই ‘খলনায়ক’ অবশেষে পাচ্ছে একটি নতুন সিক্যুয়েল। পরিচালনায় থাকছেন সেই চেনা জাদুকর, বলিউডের বিখ্যাত ‘শোম্যান’ সুভাষ ঘাই। তবে এবার তিনি ফিরছেন একেবারে নতুন প্রজন্মের গল্প নিয়ে, যেখানে পুরনো আবেদন থাকবে অটুট, কিন্তু কাহিনির ধারা হবে একেবারে সময়োপযোগী।
সুভাষ ঘাই স্পষ্ট করেছেন, এটি কোনো রিমেক নয়, বরং একেবারে নতুন এক অধ্যায়—‘খলনায়ক’ কাহিনির উত্তরাধিকারী। নতুন এই ছবিতে থাকবেন তরুণ মুখ, যারা বর্তমান সমাজের অপরাধ, বিদ্রোহ এবং উত্তরাধিকারের দ্বন্দ্ব নিয়ে এগোবেন। তবে দর্শকদের চমকে দিতে স্পেশাল ক্যামিও হিসেবে থাকবেন সঞ্জয় দত্ত ও মাধুরী দীক্ষিত।
মূল ‘খলনায়ক’-এ সঞ্জয় দত্তের ‘বল্লু’ চরিত্রটি একাধারে ভীতিকর, আবেগপ্রবণ এবং মানবিকতা-নির্ভর এক গ্রে-জোন হিরোর উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মাধুরীর ‘গঙ্গা’ ছিলেন দৃঢ়চেতা এক আন্ডারকভার পুলিশ অফিসার, যিনি দায়িত্ব আর আবেগের দ্বন্দ্বে পড়ে যান। জ্যাকি শ্রফের ‘রাম’ চরিত্রটি ছিল নৈতিকতার প্রতীক, যিনি বল্লুকে ধরতে গিয়ে নিজেই এক অভ্যন্তরীণ সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন।
ছবিটির অমর গান “চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়” এবং এর রাজনৈতিক সাহসী ব্যাখ্যা আজও ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসে স্মরণীয়। ‘খলনায়ক’ শুধুমাত্র একটি সিনেমা ছিল না, এটি হয়ে উঠেছিল পপ-সংস্কৃতির অংশ।
নতুন ‘খলনায়ক ২’-এ সেই সব আবেগ, নাটকীয়তা ও সংগীতের জৌলুস থাকবেই। ঘাই ফিরছেন তার নিজস্ব স্বকীয় ভঙ্গিমায়—বড় ক্যানভাসে, হৃদয়ছোঁয়া আবেগে মোড়া এক গল্প নিয়ে। তিনি আগেও যেমন ‘কারমা’, ‘পরদেশ’ কিংবা ‘রাম লক্ষণ’-এর মাধ্যমে ভারতীয় দর্শকের হৃদয়ে রাজত্ব করেছেন, এবারও সেই একই মায়ায় ভরিয়ে দিতে প্রস্তুত।
এসএম