বৃষ্টি আমাদের গরম থেকে মুক্তি দেয়। প্রকৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করে। তবে এ সময় পানিবাহিত রোগ, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ও হজমজনিত রোগের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে খাবার ও শাক-সবজি নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।কারণ এগুলো আমাদের পাচনতন্ত্রের ওপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে।বৃষ্টির দিনে কিছু সবজি অবশ্যই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
সবুজ শাক-সবজি
পালং শাক, বাঁধাকপি ও লেটুস পাতার মতো শাক-সবজি বৃষ্টির দিনে সাবধানতার সঙ্গে খাওয়া উচিত।আর্দ্র আবহাওয়ার ফলে এই সবজিগুলোতে অতিরিক্ত আর্দ্রতা সৃষ্টি করতে পারে। এগুলো ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর জন্য অনুকূল প্রজনন ক্ষেত্র। এর ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ ও হজম জনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
ফুলকপি
ফুলকপি, ব্রোকলি ও স্প্রাউটের মতো শাক-সবজি বৃষ্টির দিনে অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত।সম্ভব হলে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এগুলোতে আর্দ্রতা আটকে থাকতে পারে। পরে তা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
মূলজাতীয় সবজি
গাজর, মূলা ও শালগমের মতো মূলজাতীয় শাক-সবজি সাধারণত বৃষ্টির দিনে খাওয়া নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এ সময় মাটিতে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে এসব সবজিগুলো আরো বেশি পানি শোষণ করে।তাই এগুলো পরিমিতভাবে গ্রহণ করা উচিত। খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোমতো ধুয়ে নিতে হবে।
ধনিয়া ও পুদিনা পাতা
ধনিয়া ও পুদিনা পাতা সাধারণত আমাদের দৈনন্দিন রান্নায় ব্যবহৃত হয়। তবে বর্ষাকালে এগুলো খাওয়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এগুলো মাটিতে বৃদ্ধি পায়। যার ফলে এগুলোর মাঝে মাটি-বাহিত ব্যাকটেরিয়া ও পোকামাকড় দেখা যায়। তাই এসব এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
মাশরুম
আর্দ্র পরিস্থিতিতে মাশরুমে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই যাদের হজম জনিত সমস্যা আছে তারা মাশরুম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বর্ষাকালে এটি খেলে স্বাস্থ্য সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
মটরশুঁটি ও ভুট্টা
মটরশুঁটি ও ভুট্টা বর্ষাকালে অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। তবে চেষ্টা করুন এসব থেকে বিরত থাকতে। কারণ এগুলো ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে ওঠতে পারে। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই এগুলো ভালোভাবে রান্না করে নিন।
এমআর