ম্যাচ শুরুর আগেই দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে, যা গড়ায় হাতাহাতিতে। মহাদেশীয় ফাইনাল মানেই বাড়তি রোমাঞ্চ, আর রিয়াল বেটিস ও চেলসি একে অপরকে ছাপিয়ে যেতে চেয়েছিল শুরু থেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসিই।
প্রথমার্ধে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪-১ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ইংলিশ জায়ান্টরা। এই জয়ের মাধ্যমে উয়েফার সব প্রতিযোগিতায় শিরোপা জেতা প্রথম ক্লাব হিসেবে ইতিহাস গড়ে চেলসি। পাশাপাশি দীর্ঘ চার বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে আবারও ট্রফি জয়ের স্বাদ পায় তারা।
বুধবার (২৮ মে) দিবাগত রাতে পোল্যান্ডের ফাইনালে শুরুতে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল বেতিস। দলের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার ইসকোর নিখুঁত পাস থেকে গোল করেন আব্দেস সামাদ এজালজোউলি। ২১ মিনিটের মাথায় দারুণ সুযোগ পায় বেটিস। ব্যবধান ২-০ হয়েই পড়তো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল পাওয়া হয়নি স্প্যানিশ দলটির।
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে চেলসি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে চিত্রটা একেবারেই বদলে যায়। এনজো ফার্নান্দেজ, মইসেস কাইসেদো ও তরুণ কোল পালমারের কাছে রীতিমত অসহায় হয়ে পড়ে বেটিস। চেলসিও গোল আদায় করতে ভুল করেনি। পরপর তিন গোল চেলসি আদায় করে নেয় মাত্র ১৮ মিনিটের ব্যবধানে।
গোলের শুরুটা করেন এঞ্জো ফার্নান্দেজ। ৬৫ মিনিটে পালমারের অ্যাসিস্টে গোল করেন এই আর্জেন্টাইন। এরপরেই নিকোলাস জ্যাকসনকে দিয়ে আরেকবার গোল করান পালমার। বেটিস যখন সমতায় ফিরতে মরিয়া, তখনই সাঞ্চো গোল করে ম্যাচ নিয়ে যান চেলসির কাছেই। ইনজুরি সময়ে বেটিসের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মইসেস কাইসেদো।
ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেও বেতিসের হয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড অ্যান্তনির। চলতি মৌসুমে স্প্যানিশ কোনো ক্লাবের ঘরেও এলো না ইউরোপিয়ান শিরোপা।
আরএ/টিএ