আসন্ন বাজেটে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে চান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি অর্থপাচারের পথও বন্ধ করতে চান। অর্থনীতিবিদরা এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এবং কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
২০০৯ থেকে ২০২৩; হাসিনা সরকারের এই ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন বা ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। গত ডিসেম্বরে এমন তথ্য জানায় অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। যা ফেরাতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।
এবার এই পাচার করা টাকা দেশে ফেরাতে আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কৌশলী হব। পাশাপাশি অবৈধ লেনেদেনের সঙ্গে জড়িতদের হিসাব স্থগিত করা হবে।
সরকারের এমন ভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে যে ধরনের ফরেন্সিক ইনভেস্টিগেশন প্রয়োজন, তা সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এর জন্য বাজেটে অর্থায়ন রাখা যেতে পারে।
অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতেও বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ আর্থিক খাত সংশ্লিষ্টদের।
আরএ/টিএ