তাসনিম জারার না ভোলা কিছু অভিজ্ঞতা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রচারে গত তিন দিন ধরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ২৫টির বেশি সমাবেশে অংশ নিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ট্রাকে করে পথসভা করেছেন তিনি। যেখানে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার কথা জানান জারা।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ৩ দিনের সমাবেশের অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেন তাসনিম জারা।

যেখানে রাজনীতিবিদ হিসেবে জীবনের প্রথম এমন পথসভার অভিজ্ঞতাকে কখনো ভুলবেন না বলে জানান তিনি।

তাসনিম জারা তার পোস্টে বলেন, তিন দিনে ২৫টির বেশি সমাবেশে অংশ নিয়েছি, হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রথম রোড ট্যুর ছিল এটা। এই অভিজ্ঞতা আমি কখনো ভুলব না।

যতই এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় গিয়েছি, মানুষের ভিড় ততই বেড়েছে। কিন্তু শুধু ভিড় নয়, আমাকে সবচেয়ে ভালো লেগেছে মানুষ যেভাবে যোগ দিয়েছে সেটা দেখে। কেউ এসেছে রাস্তায়, আবার কেউ আমাদের দেখেছে ছাদ থেকে, জানালা থেকে, বারান্দা থেকে। কেউ গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থেকেছে, কেউ হাত নেড়েছে, হাসি দিয়েছে।

আমি চেষ্টা করেছি সবার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে হাত নাড়তে।

তিনি বলেন, বাহাদ্দারহাটে চোখে পড়ে একটি ছোট ছেলে, হয়তো সাত-আট বছর বয়স হবে। একটি বিল্ডিংয়ের বারান্দায় গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখছিল। পাশে ছিল তার পরিবারের কয়েকজন। আমি হাত নাড়লাম, ওরাও নাড়ল।

পরে যখন আমি বক্তব্য শুরু করি, সেই বারান্দার দিকেই ইশারা করে বলেছিলাম, আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেখানে এই শিশুটি নিরাপদে বড় হতে পারবে, তার সামর্থ্য ও স্বপ্ন পূর্ণভাবে বিকশিত করতে পারবে। আমি যখন ওর কথা বলি, ওর পরিবার ছেলেটাকে তুলে ধরে। সবাই ওর প্রতি করতালি দেয়।

তিনি আরো বলেন, আমরা এ জন্যই রাজনীতি করব। এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে কাজ করব, যেখানে শুধু বেঁচে থাকার সুযোগ নয়, সম্মানের সঙ্গে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ থাকবে। প্রতিটি নাগরিক যেন নিজের ক্ষমতা ও সম্ভাবনা বিকাশ করতে পারে। অমর্ত্য সেন আর মার্থা নুসবাম একে বলেন ‘Capability Approach’।

তাসনিম জারা বলেন, এই সফরে যেসব অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আমার চিন্তা, দর্শন ও কাজকর্মে প্রভাব ফেলবে। একজন রাজনীতিক হিসেবে না, একজন নাগরিক হিসেবেও। আজ থেকে আবার যাত্রা শুরু। মোহাম্মদপুরে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে রোড র‌্যালিতে অংশ নিচ্ছি। আপনাদের আমন্ত্রণ রইল।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

সাকিবের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন আমিনুল May 31, 2025
বিসিবি সভাপতির এই পরিবর্তনে ক্রিকেটের কি লাভ হলো? May 31, 2025
img
রংপুরে জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলা: ৭২ জনকে আসামি করে মামলা May 31, 2025
img
হজযাত্রীদের জন্য দৈনিক ১০ লাখ টন পানি সরবরাহ করবে সৌদি May 31, 2025
img
ট্রাক উল্টে পালালো ২৫ কোটি মৌমাছি, যুক্তরাষ্ট্রে সতর্কতা জারি May 31, 2025
img
আজ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে ঢাকার আকাশ May 31, 2025
img
বিজয়ের শেষ সিনেমা ‘জন নায়ক’, মুক্তির আগেই আয় ১৭৬ কোটি May 31, 2025
img
ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্ত, দ্বিগুণ হলো ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়াম শুল্ক May 31, 2025
img
টানা চার দিন ধরে বন্ধ জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতাল May 31, 2025
img
প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি, ট্রাম্পের জন্য নিরাপত্তা জোরদার May 31, 2025
img
ক্ষমতায় আসার আগেই ফ্যাসিস্ট আচরণ : সাদিক কায়েম May 31, 2025
img
পাঁচ বছরের ছেলের ঘুষিতে নীল হলো মাস্কের চোখ May 31, 2025
জাপান সফরে যে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা May 31, 2025
ডিসেম্বরে না হলে দেশে আর কখনও নির্বাচন হবে না: মির্জা আব্বাস May 31, 2025
বাংলাদেশ সীমান্তে ড্রোন ও পুশইন! কি চক্রান্ত ভারতের? May 31, 2025
সেন্টমার্টিনে তলিয়ে গেছে অর্ধশত ঘরবাড়ি, ৫ ট্রলার বিধ্বস্ত May 31, 2025
img
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু, প্রিয়জনের টানে ঘরমুখো মানুষ May 31, 2025
img
পরমব্রতের সাথে কাজ করতে আরাম বোধ করি : কোয়েল May 31, 2025
img
নিম্নচাপের প্রভাবে প্লাবিত পটুয়াখালী, ক্ষতিগ্রস্ত ঘর ১১৭২টি May 31, 2025
img
দীপিকার পক্ষে বললেন অজয়, ‘একজন মা এটা চাইতেই পারেন’ May 31, 2025