বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় চাঁদপুরে মুষলধারে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত জেলায় এ বছর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ১৮০ মিলিমিটার।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোর থেকে রাতভর জেলায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জনজীবন অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। নদীর পানি বেড়েছে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি। মেঘনার পশ্চিমের চর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতের আওতায় আনা হয়েছে।
শহরের পুরান বাজারের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই বাণিজ্যিক এলাকা পুরান বাজারের ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।
সড়কেও লোকজনের সংখ্যা খুবই কম। অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে রাখলেও ক্রেতা নেই।
এদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে চাঁদপুর শহরের নিচু এলাকা পালপাড়া, নাজির পাড়া, মাদরাসা রোডে অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে পানির কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও মেঘনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে সবচাইতে সমস্যা দেখা দেয় চরাঞ্চলে। মেঘনা নদীর পশ্চিমে প্রায় ৩০টির অধিক ছোট-বড় চর রয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, এখন পর্যন্ত চরাঞ্চলের লোকজনের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমি জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ ও বাতাসের তীব্রতা রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, চরাঞ্চলের লোকদের সর্তক থাকার জন্য গ্রাম পুলিশ দিয়ে বার্তা দেয়া হয়েছে। চরাঞ্চলের জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীল লোকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছে। অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক খাবার সরবরাহ ও সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে হাইমচরেও মেঘনার পশ্চিমে রয়েছে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন। সেখানকার সার্বিক অবস্থা জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বরুপ মুহুরিকে ফোন করা হয়। তিনি রিসিভ না করায় সর্বশেষ অবস্থা জানা যায়নি।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব বলেন, ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা রাত ৯টা পর্যন্ত জেলায় এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ১৮০ মিলিমিটার। জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরএম/এসএন