বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, আমি যে অন্যায়ের শিকার, আমাকে যে জোরপূর্বক পদচ্যুত করা হয়েছে, আমি আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেবো না। ফাইট করে যাবো। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখবো। আমার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। আমি আইসিসিতে জানিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত পৌনে ১২টায় ফারুক আহমেদ বলেন, আইসিসি সভাপতি জয় শাহকে পুরো ব্যাপারটি জানিয়েছি। এছাড়া আইসিসির অন্তত ৫-৭ জন পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবগত করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস এবং আমি নিশ্চিত আইসিসি ত্বরিৎ তাদের অ্যাকশন শুরু করবে। দেখবেন আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই বিসিবিতে আইসিসির চিঠি আসবে।
শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে ফারুক আহমেদ বলেন, দুই বছর আগে শ্রীলঙ্কায়ও এমন ঘটনা ঘটেছিল। শ্রীলঙ্কায় মন্ত্রীপরিষদ পুরো বোর্ড ভেঙে দিয়েছিল। তখন আইসিসি ত্বরিৎ পদক্ষেপ নিয়ে পুরো বোর্ডকে আবার পূনর্বহাল করেছিল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
এর আগে, বুধবার ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে দিতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে চিঠি দেন বিসিবির ৮ পরিচালক।
সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন- বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম, মাহবুব আনাম, ফাহিম সিনহা, সাইফুল ইসলাম স্বপন চৌধুরি, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম আহমেদ, মঞ্জুর আলম এবং মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী। তবে স্বাক্ষর করেননি সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর সরকারের বিভিন্ন মহলে পরিবর্তন হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
এমআর