মুক্তির দুই বছর পরেও প্রভাসের ‘সালার: পার্ট ওয়ান – সিসফায়ার’ জনপ্রিয়তার শিখরে। এবার সেই ঝলক ধরা পড়ল মোবাইল দর্শকদের পরিসংখ্যানে। নিলসেন মোবাইল অডিয়েন্স মেজারমেন্ট রিপোর্ট (মার্চ ২০২৫) অনুযায়ী, ভারতের মোবাইল প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি দেখা সিনেমার তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে এই দক্ষিণী ব্লকবাস্টার।
হটস্টারে স্ট্রিম হওয়া ‘সালার’ মার্চ মাসে মোবাইল স্ট্রিমিং তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে। প্রশান্ত নীলের পরিচালনায় তৈরি এই অ্যাকশন-ড্রামা ছবিতে প্রভাসের রাফ, আবেগপ্রবণ উপস্থিতি, তার সঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও অ্যাকশন — সবকিছু মিলিয়ে এক দুর্দান্ত মিশ্রণ তৈরি হয়েছে, যা এখনও মোবাইল দর্শকের মন জয় করে চলেছে।
সিনেমা সাধারণত মুক্তির পর কিছু সময়ের জন্য প্রাসঙ্গিক থাকে, কিন্তু ‘সালার’-এর ক্ষেত্রে সেই নিয়ম খাটে না। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, “মনে হয় ছবিটি যেন এখনই মুক্তি পেয়েছে।” মোবাইল স্ক্রিনেও এর আবেদন এতটুকু কমেনি। এই দীর্ঘস্থায়ী জনপ্রিয়তাই প্রমাণ করে, কনটেন্ট যদি শক্তিশালী হয়, সময় তার ধার কমাতে পারে না।
হটস্টার তাদের কনটেন্ট নীতিতে দক্ষিণী তারকা ও গল্পনির্ভর বিনোদনকে অগ্রাধিকার দিয়ে শহর থেকে গ্রাম — সব স্তরের মোবাইল দর্শকদের মন ছুঁয়েছে। শুধু ‘সালার’ নয়, ওয়েব সিরিজ ও অন্যান্য সিনেমার ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে রয়েছে প্রতিযোগিতায়।
নিলসেন রিপোর্ট আরও জানাচ্ছে, ভারত এখন মোবাইল ফার্স্ট স্ট্রিমিং দেশ। শহুরে রোমান্টিক গল্পের বদলে এখন মানুষের বেশি আকর্ষণ আঞ্চলিক ভাষার অ্যাকশন থ্রিলারে। নেটফ্লিক্সের বহুভাষিক আন্তর্জাতিক কনটেন্টও মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে — বদলে যাচ্ছে গোটা দেশের ডিজিটাল বিনোদনের রুচি।
বর্তমানে প্রভাসের হাতে রয়েছে তিনটি বড় প্রকল্প — ‘সালার: পার্ট টু – শৌর্যাঙ্গ পর্ব’, যেখানে আরও জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সঙ্গে থাকবে বড়সড় অ্যাকশন সিকোয়েন্স; ‘দ্য রাজা সাব’, এক রোমান্টিক ফ্যান্টাসি, যার টিজার আসছে শীঘ্রই; এবং সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’, যেটি সম্প্রতি কাস্টিং বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে নজর কেড়েছে।
সব মিলিয়ে ছবিটা স্পষ্ট — বড় পর্দা হোক বা মোবাইল, প্রভাস এখনো গণদর্শকের কাছে ভরসার নাম। ‘সালার’-এর মোবাইল সাফল্য আবারও বুঝিয়ে দিল, শক্তিশালী গল্প আর তারকা উপস্থিতির মিশেলে তৈরি অ্যাকশন-ইমোশন ঘরানার সিনেমা আজও ডিজিটাল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মূলধন।
এসএম/টিএ