বরগুনার বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর সংঘটিত হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দীর্ঘ ৯ বছর পর মামলা হয়েছে। বেতাগী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির মল্লিকের ছোট ভাই মো. রিয়াজুল কবির বাবু এই মামলা করেন গত ২৭ মে, দ্রুত বিচার আইনে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেতাগী শহরের স্টেশন রোডে অবস্থিত বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালান। অস্ত্র ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে তারা প্রথমে অফিসে ভাঙচুর করেন এবং পরে আগুন লাগিয়ে দেন। এরপর হুমায়ুন কবির মল্লিকের বাসায় ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং মালামাল লুট করা হয়।
মামলার আসামিদের তালিকায় রয়েছেন বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবুল আকতারসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাধিক নেতা। এজাহারে নাম উল্লেখ রয়েছে ২৬ জনের এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী রিয়াজুল কবির বাবু অভিযোগ করে বলেন, "আমার ভাই হুমায়ুন কবির তখন ধানের শীষ প্রতীকে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম কবির এ হামলা চালান। সে সময় পুলিশ মামলা নেয়নি বরং ঘটনা ধামাচাপা দিতে কাজ করেছে। তাই এখন সরকারের পরিবর্তনের পর আমরা ন্যায়বিচারের আশায় মামলা করেছি।"
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হুমায়ুন কবির মল্লিক বলেন, "আমার জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল। শেষ মুহূর্তে পরিকল্পিত হামলায় আমরা শুধু আর্থিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হই। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর এখন আশাবাদী, দোষীদের শাস্তি হবে।"
স্থানীয় বিএনপি নেতারা এ ঘটনাকে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, বরং বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড দমন করার অপচেষ্টা বলেও মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন, এই মামলা রাজনৈতিক সহিংসতার বিচার নিশ্চিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এসএন