এবারের আইপিএলে পুরোপুরি হতাশাজনক এক মৌসুম কাটালেন বিশ্বসেরা স্পিনারদের একজন রশিদ খান। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে মাঠে নামলেও নিজের নামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারফরম্যান্স দিতে ব্যর্থ ছিলেন এই আফগান তারকা। আইপিএলে ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত খেলে আসলেও, এবারই প্রথম তিনি ১০ উইকেটের নিচে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন। গতকাল শুক্রবার (৩০ মে) গুজরাটের শেষ ম্যাচে রশিদের আইপিএল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিব্রতকর এক পরিসংখ্যান যুক্ত হয়েছে।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে ২০ রানে হেরেছে শুভমান গিল নেতৃত্বাধীন গুজরাট। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার ঝড়ে ২২৮ রান তোলে মুম্বাই। সেই লক্ষ্য তাড়ায় গুজরাট ২০৮ রানে থেমেছে। প্রথম ইনিংসে তাদের পক্ষে ৪ ওভার করে রশিদ ছিলেন উইকেটশূন্য। পাশাপাশি তিনি ৩১ রান খরচ করেছেন। অর্থাৎ, এলিমিনেটরের মতো বড় ম্যাচে দলকে তেমন সহায়তা করতে পারেননি সেরা এই লেগস্পিনার। উল্টো এক আসরে সর্বোচ্চ ছক্কা হজমের নজির গড়েছেন।
এদিন ৩১ রান খরচের পথে দুটি ছক্কা খেয়েছেন রশিদ। তার ডেলিভারি দু’বারই উড়িয়ে সীমানাছাড়া করেছেন ৮১ রানের ইনিংস খেলা রোহিত শর্মা। আর তাতেই চলমান অষ্টাদশ আইপিএলে রশিদ হজম করলেন ৩৩টি ছক্কা। এতদিন টুর্নামেন্টটির এক আসরে সর্বোচ্চ ৩১ ছক্কা হজমের রেকর্ডটি ছিল মোহাম্মদ সিরাজের দখলে। তাকে সেই লজ্জা থেকে মুক্তি দিলেন তারই গুজরাট সতীর্থ রশিদ।
আইপিএলের লিগপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে সিরাজের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে ভাগ বসান এই আফগান স্পিন অলরাউন্ডার। গতকাল আরও দুই ছক্কায় তিনি ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে। এর আগে ২০২২ সালে সিরাজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৫ ইনিংসে ৩১ ছক্কা খেয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে যুজভেন্দ্র চাহাল এবং ২০২২ আসরে শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা হজম করেন সমান ৩০টি ছক্কা।
এবার সবমিলিয়েই ভুলে যাওয়ার মতো এক আসর কাটিয়েছেন রশিদ খান। ১৫ ম্যাচে ৯.৩৪ গড়ে তিনি ৯টি উইকেট নিয়েছেন। যা তার সঙ্গে মোটেও মানানসই নয়। মোট রান দিয়েছেন ৫১৪। এ নিয়ে আইপিএলে মাত্র দ্বিতীয়বার গুজরাটের এই তারকা পাঁচশ রান খরচ করেছেন। ২০২৩ আসরে ৫৫২ রান দিলেও ২৭টি (১৭ ম্যাচ) উইকেট নিয়েছিলেন রশিদ। সেবারই তার দল গুজরাট নিজেদের অভিষেক আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
আরএ/এসএন