চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজে ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং হাতাহাতির ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩১) দুপুরে কলেজের মূল ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন।
আহতরা হলেন— ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ কলেজ শাখার সম্পাদক মোজাহেরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান জীবন ও আব্দুল হাদী রাহি।
তাদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার নগরের আগ্রাবাদ চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ফুল ও পানি দেওয়ার জন্য আগে থেকে সেখানে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আলাদাভাবে অবস্থানে ছিলেন। এক পর্যায়ে সকাল ১১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এর কিছুক্ষণ পর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক জাহিদুল আলম জয় জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য ইসলামী ছাত্রশিবির কলেজের সামনে একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে। সেখানে পরীক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা এবং অভিভাবকদের জন্য পানি পান ও বসার ব্যবস্থা ছিল।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে তাদেও হেল্পডেস্কের বুথ ভেঙে দেন ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। পরে তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় হামলায় ছাত্রশিবিরের তিনজন আহত হন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, কলেজে হামলা কিংবা মারামারি কিছুই হয়নি। তুচ্ছ একটি বিষয়কে বড় করা হচ্ছে।
পানি কে আগে দেবে, সেটি নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এই জন্য ছাত্রদল দায়ী না।
নগরের ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিকুল ইসলাম জানান, কমার্স কলেজে সামান্য কথা কাটাকাটি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। আহতের কোনো তথ্য জানা নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এসএম/এসএন