আমাদের প্রধান খাবার হচ্ছে ভাত। সকাল, দুপুর, রাত—সব সময় ভাত খেতে ভালোবাসেন অনেকে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, বয়স অনুযায়ী ঠিক কতটা পরিমাণ ভাত খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ভাত খেলে ওজন বাড়ে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
আবার একেবারে কম খেলেও শরীরে শক্তির ঘাটতি হতে পারে। তাই বয়স অনুযায়ী ভাতের পরিমাণ কতটুকু হবে, জেনে নিন—
শিশু (২-১২ বছর)
এই বয়সে শিশুদের বাড়ন্ত শরীরের জন্য বেশি এনার্জি দরকার। দিনে দুই থেকে তিনবার ভাত খাওয়া যেতে পারে। প্রতিবার আধা কাপ থেকে এক কাপ ভাত পর্যাপ্ত।সঙ্গে ডাল, সবজি ও প্রোটিন দেওয়া জরুরি।
কিশোর ও টিনএজার (১৩-১৯ বছর)
এই বয়সে শরীরের গ্রোথ ও হরমোনাল পরিবর্তন বেশি হয়। দিনে দুই থেকে তিনবার ভাত খাওয়া যায়। এক একবারে এক কাপ থেকে দেড় কাপ পরিমাণ ভাত গ্রহণ করা যেতে পারে।তবে জাংক ফুড এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রাপ্তবয়স্ক (২০-৫০ বছর)
এই বয়সে অফিস, কাজকর্ম বা ঘরের দায়িত্ব থাকে। তাই এনার্জি দরকার বেশি। তবে ওজন অনুযায়ী ভাতের পরিমাণ ঠিক করতে হবে। সাধারণ ওজন থাকলে দিনে ২ বার খাওয়া যেতে পারে।
প্রতিবার ১ কাপ থেকে দেড় কাপ। ওজন বেশি হলে বা ডায়াবেটিস থাকলে দিনে ১ কাপ ভাতই যথেষ্ট। সম্ভব হলে ব্রাউন রাইস বা লাল চাল খাওয়া ভালো।
বয়স্করা (৫০ বছরের বেশি)
এই বয়সে হজমের ক্ষমতা কমে যায়। তাই ভাতের পরিমাণ কমানো ভালো। দিনে ১ বার ভাত খেলে ভালো হয়। এক্ষেত্রে আধা কাপ থেকে ১ কাপ পর্যন্ত ভাত খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে হালকা সবজি, ডাল ও প্রোটিন থাকা জরুরি।
অতিরিক্ত ভাত খেলে
ওজন বেড়ে যেতে পারে
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে
পেটে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা হতে পারে
ঘুম ঘুম ভাব, অলসতা আসতে পারে
একবেলা রুটি বা ওটসের মতো বিকল্প রাখুন
চাল সিদ্ধ করার পর মাড় ফেলে দিন। ঘি-ভাত বা পোলাও নয়, সাধারণ ভাত খান। বয়স অনুযায়ী ভাতের পরিমাণ ঠিক রাখা শরীরের জন্য খুব জরুরি। মাত্রায় খেলে ভাতের কোনো ক্ষতি নেই। বরং সঠিক ডায়েট আপনার সুস্থতা নিশ্চিত করবে।
এমআর