ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল মৌসুমের শেষ ম্যাচ। সেইসঙ্গে সম্ভবত সবচেয়ে বড় ম্যাচ। ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানের মুখোমুখি ফ্রান্সের প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন। নিকট অতীতে এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গিয়েই স্বপ্নভঙ্গের অভিজ্ঞতা আছে দুই দলেরই।
২০২০ সালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল পিএসজি। আর ২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরেছিল ইন্টারমিলান কাকতালীয়ভাবে সেবারেও ব্যবধান ছিল ১-০। পিএসজি বনাম ইন্টার মিলানের কাছে এই ম্যাচটা তাই নিজেদের অতীত দুঃখ ভোলার ম্যাচ। জার্মানির মিউনিখে বিখ্যাত আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা স্টেডিয়ামে গড়াবে ফাইনালের এই মহারণ।
ফাইনালের এই মহারণে কারা ফেভারিট, সে নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। জমাট রক্ষণের কারণে ইন্টার মিলানকে যেমন সমীহ করতে হচ্ছে, তেমনি পিএসজিকেও পিছিয়ে রাখা যাচ্ছে না কোনোক্রমেই। দলটির আক্রমণভাগের ক্ষুরধার ফর্ম, এই মৌসুমে ইউরোপিয়ান ফুটবলের বড় এক আকর্ষণ হয়েই দর্শকদের কাছে ধরা দিয়েছে।
তবে ক্রীড়া বিশ্লেষণী সংস্থা অপ্টা তাদের নিজস্ব সুপার কম্পিউটারের গণনায় সুখবর দিয়েছে পিএসজিকেই। তাদের এই সুপার কম্পিউটার বলছে, ইন্টার মিলানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা যাচ্ছে পিএসজির ট্রফি ক্যাবিনেটে। সেইসঙ্গে ১৯৯৩ সালের পর প্রথমবার শিরোপা যেতে পারে ফ্রেঞ্চ লিগের কোনো দলের কাছে।
দুই দলের মধ্যে ইন্টার মিলান সব পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও অপ্টা বলছে শিরোপা যাবে পিএসজির কাছে। ডেটার অ্যানালাইসিসের ভিত্তিতে করা ম্যাচ পূর্ব তথ্য বলছে, ৯০ মিনিটের মাঝে ইন্টারের জয়ের সম্ভাবনা মোটে ২৯ শতাংশ। আর পেনাল্টিতে গেলে সেটা নেমে আসতে পারে ২৬ দশমিক ৪ শতাংশে। বিপরীতে অপ্টার মডেল অনুযায়ী, পিএসজির নব্বই মিনিটের মাঝেই জয়ের সম্ভাবনা ৪৪ শতাংশের কাছাকাছি। আর পেনাল্টিতে সেটা ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
অপ্টার এই সুপার কম্পিউটারের সাফল্যের ঈর্ষণীয় হারও অবশ্য দুশ্চিন্তায় ফেলতে পারে ইন্টার মিলানের সমর্থকদের। এখন পর্যন্ত এই গণনার ফলাফল ব্যর্থ প্রমাণ হয়েছে খুব কমই। এর আগে চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার মধ্যেকার ম্যাচগুলোতে সঠিক ফলাফলই অনুমান করেছিল অপ্টা।
আর সেটাই যদি হয়, তবে প্যারিস মাতবে শিরোপা জয়ের উল্লাসে। আর মিলান নগরীতে নামবে শিরোপা হারানোর বড় হতাশা।
এমআর