বহুল প্রতিক্ষীত ম্যাচের শুরুটা ছিল নিতান্তই একপেশে। মিউনিখে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলান এবং পিএসজির ম্যাচটাই ছিল তারুণ্য বনাম অভিজ্ঞদের ম্যাচ। পিএসজি একাদশের গড় বয়স ছিল ২৪। ইন্টারের জন্য সেটা ছিল ৩০। আর প্রথমার্ধের খেলাতে তারুণ্যের জয়টাই হলো।
দলকে পুরো আসরেই বল দখলে রেখে আক্রমণে যাওয়ার পাঠ দিয়েছিলেন কোচ লুইস এনরিকে। ফাইনালেও তাই হলো। শুরু থেকেই পিএসজির টানা আক্রমণের সামনে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছিল ইন্টারমিলান। প্রথম ১০ মিনিটে অন্তত দুইবার দূরপাল্লার শট নিয়েছিল তারা। ফলাফল আসে এরপরেই।
১২ মিনিটে ভিতিনহার ডিফেন্সচেরা পাস ডি-বক্সে খুঁজে নেয় দুয়েকে। দারুণ দক্ষতায় বল রিসিভ করেন তিনি। নিজে ছিলেন আনমার্কড। এরপরেই নিঃস্বার্থ পাস দিলেন আশরাফ হাকিমিকে। আলতো টাচে নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করেন হাকিমি।
এর মিনিট আটেক পর ফের গোল পিএসজির। আগের গোলের যোগানদাতা দুয়ে এবার নিজেই করলেন গোল। ওসমান ডেম্বেলের সঙ্গে বোঝাপড়ায় দারুণ এক আক্রমণ সাজায় দল। কাছের পোস্টে চমৎকার এক ফিনিশে দলের স্কোরলাইন করেন ২-০।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সেটপিসে ভাল সুযোগ এসেছিল ইন্টারের জন্য। তবে এর কোনোটিই কাজে লাগেনি। এমনকি পিএসজিও দারুণ আক্রমণ শানিয়ে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালায়। যদিও কাঙ্ক্ষিত গোল আর আসেনি। ২-০ গোলের লিড নিয়েই পিএসজি ফেরে টানেলে।
আরআর