কক্সবাজার উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিও-আইএনজিও পরিচালিত শিক্ষা প্রকল্পে কর্মরত গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদে নিযুক্ত স্থানীয় শিক্ষকদের আকস্মিক ছাঁটাই করা হয়েছে। স্থানীয় শিক্ষকদের হঠাৎ করে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে এলাকার লোকজন ফুঁসে উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয়রা এনজিও-আইএনজিওগুলোর নানা বিষয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শনিবার (৩১ মে) উখিয়া শহীদ মিনারে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা।
‘বাজেট সংকট’ দেখিয়ে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনজিওগুলো। আর এমন অভিযোগ স্বীকার করতে রাজি নন ছাঁটাইয়ের শিকার হওয়া স্থানীয়রা।
ছাঁটাই হওয়াদের অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে সীমিত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা দিয়ে আসছেন।
কিন্তু হঠাৎ করে ‘প্রকল্প মিনিমাইজড’ ও ‘বাজেট সংকট’ দেখিয়ে কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে তারা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং অবিচার বলে দাবি করেছেন।
চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, ‘এই অন্যায়ের প্রতিবাদে আমরা আজ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা না হয়, তাহলে রবিবার আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে এনজিও গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেব। বাধা এলে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
তারা আরো জানান, হোস্ট কমিউনিটির যুবকদের চাকরিচ্যুতি শুধু অর্থনৈতিক নয়, সামাজিকভাবে দারুণ প্রভাব ফেলছে। রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত থেকে নিজ জনগোষ্ঠীই আজ বঞ্চনার শিকার বলে দাবি করেন তারা।
চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার (১ জুন) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে তারা বড় পরিসরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন।
এ বিষয়ে এনজিও বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরআর