নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ৫৮ জন নারী এবং পুরুষ শ্রমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৪০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এসব রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।
শনিবার (৩১ মে) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসারত শ্রমিকদের দেখা যায়।
আক্রান্তরা সবাই পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেড এলাকার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক। যার বেশিরভাগই ডেনিম ভিনটেজ (এ্যাবা), নাকানো ইন্টারন্যাশনাল বিডি এবং আরও কয়েকটি কারখানার কর্মী বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, কারখানার সরবরাহকৃত পানি পান করার পর থেকেই বমি, পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানা দেখা দেয়।
এ বিষয়ে এ্যাবা কারখানার শ্রমিক সিয়াম রেজা বলেন, আমি বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে কাজের ফাঁকে ইপিজেড এলাকার সরবরাহ করা পানি (স্লালাই) খেয়েছিলাম। এরপর থেকেই পেট ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পানিতে কোনো একটা ঝামেলা থেকেই এই সমস্যা হয়েছে আমার।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিবা তাসনিম বলেন, শ্রমিকদের খাবার বা পানিতে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাদ্যজনিত কারণেই তাদের ডায়রিয়া, বমি ও পেট ব্যথা দেখা দিয়েছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা দিচ্ছি। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখছি তাদের রাজশাহীতে রেফার্ড করছি।
এফপি/এসএন