নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার যত হরর সিরিজ এসেছে, তার মধ্যে ব্যতিক্রমী একটি নাম ‘গুল’। মাত্র তিন পর্বের এই সিরিজটি শুধু ভয় নয়, দর্শকদের মন, চিন্তা ও বিবেককেও গভীরভাবে নাড়িয়ে দেয়। অনেকেই বলছেন, ‘গুল’ ভারতীয় কনটেন্টে হররের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে।
কাহিনির পটভূমি এক কঠোর সামরিক নিয়ন্ত্রিত ভবিষ্যতের ভারত। সেখানে নিদা রহিম নামের এক সাহসী নারী অফিসারকে পাঠানো হয় একটি গোপন ডিটেনশন সেন্টারে, যেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয় এক কথিত সন্ত্রাসবাদীকে। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ দ্রুত বদলে যায়। সেই বন্দির আচরণ ক্রমেই রহস্যজনক হয়ে ওঠে, কারণ সে আশেপাশের লোকজনের গোপন পাপ ও অতীত জেনে ফেলে।
মূল চরিত্রে রাধিকা আপ্তে নিদা রহিম হিসেবে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। তার একার উপস্থিতিই সিরিজকে চমৎকারভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছে। মানব কউল ও এস এম জহির পার্শ্বচরিত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন প্যাট্রিক গ্রাহাম। প্রযোজনায় ছিল অনুরাগ কাশ্যপের ‘ফ্যান্টম ফিল্মস’ এবং বিশ্বখ্যাত ‘ব্লামহাউস প্রোডাকশন’— যারা ‘গেট আউট’ ও ‘দ্য পার্জ’-এর মতো জনপ্রিয় হরর সিনেমার নির্মাতা।
সমালোচক ও দর্শকরা সিরিজটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। রটেন টমেটোসে এর রেটিং ৮৩ শতাংশ এবং আইএমডিবিতে ৭-এর ওপর। ছোট পরিসরের এই সিরিজে টানটান কাহিনি, দুর্দান্ত শব্দ পরিকল্পনা এবং অন্ধকার এক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
‘গুল’ কোনো সাধারণ হরর সিরিজ নয়। এটি এমন এক গল্প, যা দর্শকদের ভাবায়, প্রশ্ন তোলে এবং কখনও কখনও নিজের ভেতরেই ভয় খুঁজে পেতে বাধ্য করে। যারা একটু ভিন্নধর্মী, গভীর ভাবনার হরর কনটেন্ট দেখতে চান, তাদের জন্য ‘গুল’ হতে পারে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা।
নেটফ্লিক্সে এমন কিছু কনটেন্ট খুব বেশি দেখা যায় না। ‘গুল’ যেন দর্শককে মনে করিয়ে দেয়। সব ভয় বাইরের নয়, অনেক সময় তা আমাদের ভেতরেই বাস করে।
আরএ/এসএন