বাইরের ভাজাপোড়া খাবার খেলে অল্প-বিস্তর হজমের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে অনেকের বাড়ির খাবার খেলেও পিছু নেয় এসিডিটি। সমাধান খুঁজতে ভরসা রাখেন মুঠো মুঠো গ্যাসের ওষুধের ওপর।
চিকিৎসকদের মতে, ঘন ঘন ওষুধ খেলে যেমন ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যায়, তেমনই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্রনিক অসুখ।তাই স্বাভাবিক উপায়ে হজম ক্ষমতা বাড়ানোই ভালো। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন কয়েকটি কৌশল মেনে চললে বদহজমের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
তাড়াহুড়োয় অনেকে খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান না। কিন্তু হজমের ক্ষমতা ঠিক রাখতে যেকোনো খাবার চিবিয়ে খাওয়া প্রয়োজন।কারণ ভালোভাবে চিবালে নানা উৎসেচক যোগ হয়ে খাবারকে সহজপাচ্য করে তোলে। বিভিন্ন ধরনের খাবারকে সঠিকভাবে হজম করতে সাহায্য করে।
সকলের শরীরের ধরন এক রকম নয়। তাই আপনার কোন খাবার সহ্য হচ্ছে না, তা নিজেকেই বুঝতে হবে।যেমন দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হলেও সবাই সহজে হজম করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে দুধের বিকল্প হিসেবে দই খেতে পারেন। এতে অন্ত্রের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এটি হজমে সাহায্য করে।
খাদ্যতালিকায় আঁশযুক্ত খাবার বেশি রাখুন।
আঁশযুক্ত খাবার সহজে পানি শোষণ করে, হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিয়মিত শাক-সবজি, ফল, সালাদ, চিয়া সিড, ইসবগুল খেতে পারেন। পানির পরিমাণ বেশি রয়েছে, এমন ফল ও সবজি, যেমন তরমুজ, শসা, টমেটো, লাউ ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় বেশি রাখুন।
খালি পেটে চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। হজমের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত তেল, ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলুন।
খাবার হজম করতে পানির ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিদিন ১০-১২ গ্লাস পানি পান করুন। তবে খাওয়ার আগে এবং খাওয়ার মধ্যে অতিরিক্ত পানি পান করা যাবে না। এতে হজমের সমস্যা বাড়তে পারে।
রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়ার চেষ্টা করুন। একইসঙ্গে খেয়েই ঘুমিয়ে পড়া উচিত নয়। ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেতে পারেন।
এমআর/টিএ