ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের মানবতাবিরোধী অপরাধকে আমলে গ্রহণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (১ জুন) শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় আরেক অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আগামী ১৬ জুন অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওইদিন এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
অভিযোগ দাখিলের পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এই বিচার প্রতিশোধের জন্য নয়। এটি ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা এবং আগামী প্রজন্মকে নিরাপদ বাংলাদেশ উপহার দেওয়া। এই বিচার আবেগ শূন্য। এই বিচার প্রমাণ ও তথ্যনির্ভর এবং নিরপেক্ষ ও ন্যায়বিচার।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রমাণ করতে চাই একটি সভ্য সমাজ, যেখানে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন থাকবে সেখানে গণহত্যা কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধ সহ্য করা হবে না। যে দেশে বিচার থাকবে সেখানে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে পারে না, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না।
তিনি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে ‘মনসুন রেভুল্যুশন’ বা ‘বর্ষা বিপ্লব’ নামে অভিহিত করেন।
আরএম/এসএন