করোনাকালীন সময় ২০১৯-২০ অর্থবছর বাদ দিলে গত ২৫ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নেমেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। এছাড়া এক দশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে বিনিয়োগের পরিমাণও। অন্যদিকে গত টানা তিন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে ১০ শতাংশের আশেপাশে। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে।
পরিস্থিতি আরো খারাপ করেছে টানা ৩৯ মাস ধরে মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির তুলনায় কম। কৃষি উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। এতে তৈরি হয়েছে খাদ্য নিরাপত্তার শঙ্কা।
টানা তিন বছর ধরে চলা অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার প্রভাবের পাশাপাশি গত প্রায় এক বছরের বিনিয়োগ পরিবেশের অবনতি অর্থনীতির সংকটকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, মব সন্ত্রাসের মতো ঘটনার কারণে বেসরকারি খাত এখনো আস্থাহীন। বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে আছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর প্রধান কারণ, কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
দেশে সর্বশেষ এর চেয়ে কম জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরে, ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে কোভিডের এই অস্বাভাবিক অর্থবছরটি বাদ দিলে কম প্রবৃদ্ধির সময় ছিল ২০০১-০২ অর্থবছর, ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থনীতির জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হচ্ছে মোট বিনিয়োগ ও মোট দেশজ সঞ্চয়। দুটোই কমে গেছে। এবার মোট বিনিয়োগের হার হচ্ছে জিডিপির ২৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
এর আগে এর তুলনায় কম বিনিয়োগের অর্থবছর ছিল ২০১৩-১৪ অর্থবছর, ২৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর মোট দেশজ সঞ্চয় তো কমছে ধারাবাহিকভাবে।
আরআর/এসএন