তাসকিন, মুস্তাফিজ ও নাহিদকে মিস করেছে বাংলাদেশ দল: আমির সোহেল

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ২০২ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ করেছিলো ১৪৪ ও ১৬৪ রান। শেষ ম্যাচে ১৯৭ রান করেও স্বাগতিকদের সাথে লড়াই করতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। গেল ৫-৬ বছর ধরে বাংলাদেশ দলকে খুব কাছ থেকে দেখছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেল।



বাংলাদেশের হোম সিরিজ আর বিপিএলের ধারভাষ্য প্যানেলে নিয়মিত থাকেন সাবেক এই ওপেনার। আমিরের মতে বাংলাদেশ দলে ছিলো ভারসাম্যের অভাব। রিশাদ হোসেনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশ দলে তাসকিন-মোস্তাফিজ-নাহিদ রানার অনুপস্থিতিকে মুখ্য করে দেখছেন সাবেক এই পাক অধিনায়ক।

আমির সোহেল বলেন, আমার মতে বাংলাদেশ দলে এই মুহুর্তে ভারসাম্য নেই। দলের ব্যাটাররা বোলারদের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না, বোলাররা-ও ব্যাটারদের ওপর। তবে এটা সত্য তাসকিন, মোস্তাফিজ, নাহিদ রানা থাকলে বাংলাদেশ আরও ভালো লড়াই করতো আমি নিশ্চিত।
তখন ব্যাটাররাও আরও ভালো করতো।




ব্যাটিং এর পাশাপাশি এই সিরিজে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটও। বিশেষ করে স্পিনার রিশাদের পারফরম্যান্স ছিলো হতাশার। প্রথম ম্যাচে ৫৫, দ্বিতীয়টিতে ৫০ আর শেষ ম্যাচে রিশাদ দিয়েছেন ৩ ওভারে ৩৯ রান। এই লেগ স্পিনারের প্রতিভার কমতি নেই। কিন্তু তার অ্যাকশনে বড় গলদ দেখছেন আমির সোহেল।

তিনি বলেন, নাহিদের অ্যাকশনে উন্নতি প্রয়োজন। কিছু জায়গায় তার সমস্যা আছে। রিশাদকে বুঝতে হবে কেন সে ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করতে পারছে না। তার প্রতিভা আছে, ভেরিয়েশনও আছে। কিন্তু তার অ্যাকশন স্মুথ না হওয়ায় সে নিয়মিতই খেই হারাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তরুণ ব্যাটারদের টেকনিক ও মাইন্ড সেট উন্নতি করতে কাজ করতে হবে। এদের প্রতিভা আছে, কিন্তু আরও উন্নতি প্রয়োজন। তবে সেরা বোলাররা দলে ফিরলে ব্যাটারদেরও আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ দলের এখন টানা ব্যস্ত ক্রিকেট সূচি। ২০২৬ সালে শুরুতে রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। স্বল্প এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করার কথা বলছেন আমির সােহের। তামিম, ইমন, হৃদয়দের স্কিল ও মানসিকতা দুই ক্ষেত্রেই উন্নতি প্রয়োজন বলছেন এই পাকিস্তানি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে চলছে অস্থিরতা। একের পর এক বিতর্ক জন্ম নিচ্ছে। যা প্রভাব ফেলতে পারে দলের পারফরম্যান্সে— এমন আলোচনাও হচ্ছে। তবে আমির সোহেলের মতে মাঠের খেলায় এর প্রভাব পড়া উচিত নয়।

আরএম/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ স্কিমে বাংলাদেশ–দক্ষিণ কোরিয়ার সমঝোতা স্বাক্ষর Jun 05, 2025
img
দুই সন্তানের সীমা বাতিল করেছে ভিয়েতনাম: রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম Jun 05, 2025
img
নদী বাঁচাতে ঈদযাত্রায় প্লাস্টিককে ‘না’: লঞ্চঘাটে বিশেষ প্রচারাভিযান Jun 05, 2025
img
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা: প্রস্তুতিতে ৫৫ মিলিয়ন ডলার সংকটে ডব্লিউএফপি Jun 05, 2025
img
তদন্ত প্রতিবেদনে নাসুমের ঘটনা ফাঁসে তামিমের নাম! Jun 05, 2025
img
১২ ঘন্টায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করবে ডিএসসিসি Jun 05, 2025
img
‘ব্যথায় কাঁদছে’—চাহালের দুঃসময় নিয়ে মুখ খুললেন মহওয়াশ Jun 05, 2025
img
রাজধানীতে পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত ২০ হাজার ২৬৭ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী Jun 05, 2025
img
দুদু-বুলুকে বিএনপির লিখিত সতর্কবার্তা Jun 05, 2025
img
দ্য রাজা সাব’ ছবির জন্য পারিশ্রমিক কমালেন প্রভাস, নিচ্ছেন ১০০ কোটি Jun 05, 2025
img
আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন বাংলাদেশি হাজিরা Jun 05, 2025
img
শ্রীলঙ্কা সিরিজের টেস্ট দলে জায়গা হয়নি সোহানের, ওয়ানডেতে সুযোগের সম্ভাবনা Jun 05, 2025
img
ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৪৩ ফিলিস্তিনির Jun 05, 2025
img
গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ পলিথিনের গোডাউনে সেনাবাহিনীর অভিযান Jun 05, 2025
img
ঘোস্ট হারিকেন: মডেলের ভুল পূর্বাভাসে বিভ্রান্তি Jun 05, 2025
img
ডেম্বেলেই এবারের ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার: দেশম Jun 05, 2025
img
চলতি মৌসুমে হজ করেছেন ৬ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি Jun 05, 2025
img
ঈদ উপলক্ষে বিএনপির বিশেষ কর্মসূচি Jun 05, 2025
img
ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম পুলিশের সতর্কবার্তা Jun 05, 2025
img
উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে রাতে মাঠে নামছে স্পেন ও ফ্রান্স Jun 05, 2025