কলজে পড়ার সময় প্রচণ্ড বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন মডেল নায়লা নাঈম। এ কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। অনেক বেশি শুকনো থাকার কারণে তাকে বুলিংয়ের শিকার হতে হয়।
বিষয়টি জানিয়ে নায়লা নাঈম নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি বুলিংয়ের শিকার হয়েছি যখন আমি এইচএসসি পড়তাম।
আমি অনেক বেশি শুকনা! আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত ফ্লাট এই ধরনের প্রচুর মন্তব্য শুনতাম। কম বয়সী ছিলাম। এই ধরনের মন্তব্যগুলো খারাপ লাগত! আত্মীয়-স্বজন অথবা ক্লাসমেট অথবা তখনকার ছেলে বন্ধুদের কাছে... আমি শুকনা শুনতে শুনতে কান পচে যেত।’
নিজের প্রেমিকের কাছ থেকেও কটু মন্তব্য শুনতে হয়েছে জানিয়ে নায়লা বলেন, ‘বয়ফ্রেন্ডকে ইমপ্রেস করার জন্য শাড়ি পরেছিলাম একদিন... নীল রঙের।
তখন আমি দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি... খুব আশা নিয়ে... ভালোবাসা নিয়ে শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে ছিলাম তার সামনে। আমাকে দেখামাত্র তার প্রথম মন্তব্য ছিল শাড়ি তোমাকে মানায় না কেন পরেছ? চোখ ছলছল করছিল। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে সে রাতে অনেক কেঁদেছিলাম। সুন্দরী আমি কোনো দিনও ছিলাম না।
নিজের শরীর নিয়ে হীনম্মন্যতা ছিল নায়লার। এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারো সাথে দেখা করতে গেলেই হাত লুকিয়ে ফেলতাম। পায়ে পড়তাম এমন জুতা, যাতে পায়ের আঙুলগুলো দেখা না যায়। আমার হাতের আঙুল, পায়ের গঠন—এগুলো হয়েছে আমার দাদির মতো। একদম গ্রাম্য।
একদা এক বয়ফ্রেন্ড পায়ের একজোড়া পায়েল এনে পরিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিছুতেই আমি তার সামনে পা বের করব না। পায়েল জোড়া হাতে নিয়ে বাসায় ফিরি।’
দিন ঘুরে গেছে, সেই দিনের কথাই উল্লেখ করে বললেন, ‘অথচ বুলিংয়ের শিকার মেয়েটি প্রতিদিন হ*ট, সে*ক্স সিম্বল, সে*ক্স আইকন, ডিভা... ফিটনেস কুইন... সেরা সুন্দরী... ভর্তি ভর্তি মেসেজ দিয়ে ভরে যায় তার ইনবক্স। ঠোঁটের কোনাতে চিলতে হাসি থাকে তার। জীবনের প্রতি চাওয়া-পাওয়া আমার একেবারেই কম। আমাকে কেউ কোনো দিন ভাঙতে পারেনি আর এখন আমি এত বেশি আত্মবিশ্বাসী... কেউ ভাঙতে পারবেও না! কারণ একটাই আমি মারাত্মক নিরহংকারী একজন মানুষ।’
এমআর/টিএ