মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন তহবিল ৭২৮ কোটি টাকা

মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগের আওতায় এখন পর্যন্ত ১,১৩৫টি মাদ্রাসা ভবনের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৫১৩টি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৪৯৩টি মাদ্রাসায় স্থাপন করা হয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তাঁর উপস্থাপনা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশের এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার কাজ চলছে। সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ১৩৫টি মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫১৩টি বহুতল ভবনের কাজ চলছে। সারা দেশের ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়া ৪৯৩টি মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে, যা মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে ভূমিকা পালন করছে। এর মধ্যে ইবতেদায়ী পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া এবং নতুন করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তি বাবদ ৭২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসারে এবং শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার কথা উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষায় এনরোলমেন্টের হার ১৯ শতাংশ। আগামীতে এটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করতে প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে মহিলা পলিটেকনিক ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জেলা পর্যায়ে পলিটেকনিক এবং উপজেলা পর্যায়ে টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তি হলো সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার একটি প্রক্রিয়া। এই বরাদ্দের মাধ্যমে যেসব মাদ্রাসা এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি সেগুলোকে এমপিওভুক্তির আওতায় আনা হবে, ফলে সেখানকার শিক্ষকরা সরকারি বেতন-ভাতার সুবিধা পাবেন। এর ফলে মাদ্রাসা শিক্ষার সামগ্রিক মান আরও উন্নত হবে এবং দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাবে।

আরএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আরো একজন নিহত Jun 04, 2025
img
শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতাসহ মুজিবনগর সরকারের সকলেই মুক্তিযোদ্ধা, বললেন ফারুক ই আজম Jun 04, 2025
img
তাজউদ্দিন আহমদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কিভাবে? প্রশ্ন সারজিসের Jun 04, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে এলাকাবাসীর হাতে বিএসএফ সদস্য আটক Jun 04, 2025
img
বিশ্ববাজারে আবারও শীর্ষে আইফোন ১৬ Jun 04, 2025
img
বিভিন্ন খাতে ব্যয় সংকোচন করে ৪৬ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করল সরকার Jun 04, 2025
মডেলের কেক খাওয়ানো নিয়ে অনন্তকে ঘিরে বর্ষার ক্ষোভ Jun 04, 2025
গেঞ্জাম লাগাতে সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে খবর ছেপে দিলেই সাংবাদিকতা হয় না Jun 04, 2025
img
ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল চলাচল Jun 04, 2025
img
পার্থর প্রশ্ন : এনসিপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য সংস্কার? Jun 04, 2025
img
‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন শেখ মুজিব মাঠে ছিলেন না’ Jun 04, 2025
img
যমুনা সেতুতে একদিনেই টোল আদায় প্রায় তিন কোটি টাকা Jun 04, 2025
img
কোরবানির হাটে ভিড়ের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম : মেহজাবীন Jun 04, 2025
img
দেশে ফের করোনা, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৯ জন Jun 04, 2025
img
ঈদে ১২ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে সিএনজি ও ফিলিং স্টেশন Jun 04, 2025
img
ভারতে সুপারবাগের প্রকোপ বাড়ছে Jun 04, 2025
৭-৮ মাস ফোন ব্যবহার ছাড়াই ছিলেন শরিফুল রাজ Jun 04, 2025
img
হামলার পর সেনা বাহিনীতে পরিবর্তন আনলেন জেলেনস্কি Jun 04, 2025
img
ভাঙ্গায় বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে ৫ জন নিহত Jun 04, 2025
img
কাল থেকে ১০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা Jun 04, 2025