চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ঈদুল আজহার দিন নগরীতে কোরবানির পর জমে থাকা বর্জ্য বিকেল ৫টার মধ্যে পরিষ্কারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
সোমবার (২ জুন) দুপুরে চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রস্তুতি সভায় এ নির্দেশনা দেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
মেয়র বলেন, ঈদুল আজহা পবিত্র একটি দিন। আমরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি করি। কোরবানির মাধ্যমে অন্তরের পাপ, অহংকার, হিংসা, হিংস্রতাকে কোরবানি দিই। সেই মানসিকতা থেকে নগরবাসীর সেবায় আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের টার্গেট, ঈদের দিন ৫টার মধ্যে পুরো নগরী পরিষ্কার করে একটি পরিচ্ছন্ন শহরে রূপান্তর করা।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ বিকেল পাঁচটার মধ্যে নগরী থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবো। এ লক্ষ্যে আমাদের প্রায় ৪ হাজার ২০০ কর্মী কাজ করবে।
নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মোট ৩৬৯টি গাড়ি বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে। বর্জ্য অপসারণের জন্য ডাম্প ট্রাক, কম্পেক্টর, পে-লোডার কাজ করবে। পানির ভাউজার থাকবে রক্ত পরিষ্কার করার জন্য। কোনো কর্মী অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য এম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কোরবানির চামড়া নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। নগরীর বাহিরের চামড়া নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, পশু জবাইয়ের আগে পানি পান করানো, জবাইয়ের স্থান পরিষ্কার রাখা এবং রক্ত-পানি ড্রেনে পড়ে না যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এসব অনিয়ম দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে ও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
মেয়র বলেন, চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত লবণ ও ইকো-ফ্রেন্ডলি পলিথিন ব্যবহারের ব্যবস্থাও থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে মনিটরিং টিম কাজ করবে।
পরিচ্ছন্নতা অভিযান তদারকির জন্য মেয়র নিজেই সেদিন সকালে মাঠে থাকবেন বলে জানান। এছাড়া নগর ভবনের দামপাড়ায় একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ (কন্ট্রোল রুম) খোলা থাকবে, যেখান থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হবে। দুটি হটলাইন নম্বর ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ অভিযোগ বা পরামর্শ জানাতে পারবেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা প্রমুখ।
আরএ/টিএ