একটি পডকাস্টে অংশ নিয়ে অভিনেতা আমির খান বলেন, রীনা বা কিরণের সঙ্গে হয়তো স্বামী-স্ত্রী হিসেবে নয়, কিন্তু পরিবার হিসেবে সবসময় একসঙ্গে থাকবেন। তিনি তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখেন, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক কখনো বদলাবে না।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক, প্রেম ও বিয়ে নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে গিয়ে আমির আরও জানান, ৫৯ বছর বয়সে এসে গৌরির প্রেমে পড়ার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না তার। উল্লেখ্য, আগামী ২০ জুন মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার নতুন ছবি ‘সিতারে জমিন পার’।
তিনি জানতেন, এই বয়সে পার্টনার পাওয়া সহজ নয় ৷ কারণ মনের মিল না হলে বাকি জীবন পথ চলা মুশকিল ৷
এর আগে আমিরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় ৷ যেখানে তিনি বলেছিলেন, আর কখনও বিয়ে করবেন না ৷ কিন্তু কিছু মাস আগেই সর্বসমক্ষে গৌরির সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানান অভিনেতা৷
গৌরি প্রসঙ্গে আমির বলেন, ‘আমার তখন থেরাপি শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ আমি নিজেকে বেটার রাখার চেষ্টায় ছিলাম ৷ নিজেকে ভালোবাসার ওপর ফোকাস দিচ্ছিলাম ৷ বন্ধুদের বলতাম, রিনা ও কিরণের সঙ্গে আমার খুব গভীর সম্পর্ক ছিল ৷ আমরা এখনও খুব ভালো বন্ধু৷ আমাদের একে অপরের প্রতি সম্মান আজও রয়েছে ৷ ফলে আমার মনে হচ্ছিল, আর কারোর সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরি হওয়া সম্ভব নয় ৷ দু-তিন বছর আগেও আমার সেটা মনে হচ্ছিল ৷’
আমিরের কথায়, ‘কিন্তু যখন গৌরির সঙ্গে দেখা হলো তখন আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব তৈরি হলো ৷ আমি প্ল্যান করিনি ৷ কারণ ছেলে-মেয়ে, শিবলিং নিয়ে খুশিই ছিলাম ৷ মনে হয়নি আমার কোনও পার্টনারের দরকার আছে। কারণ কিরণ-রিনা (প্রাক্তন স্ত্রী) আমি আজও পানি ফাউন্ডেশনে একসঙ্গে কাজ করি ৷ রোজ আমরা একসঙ্গে বসে আলাপ আলোচনা করি ৷ পরিবার হিসাবে এক উষ্ণতা রয়েছে আমাদের মাঝে ৷’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, রীনা-আমি বা কিরণ একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে না থাকলে পরিবার হিসেবে থাকব ৷ ওরা আমার পরিবারের অটুট বন্ধন ৷ আমার জীবনের একটা অংশ৷ সেটা আর যাই কিছু হয়ে যাক না কেন, রিনা-কিরণের সঙ্গে আমার সম্পর্কের যে উষ্ণতা রয়েছে, শ্রদ্ধা রয়েছে, ভালোবাসা রয়েছে তা কখনও বদলাবে না ৷’
এই পটকাস্টেই জীবনের বড় ভুল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রিনার সঙ্গে বিয়ের কথা উল্লেখ করেন অভিনেতা ৷ তিনি জানান, জীবনে অনেক ভুল করেছেন ৷ অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ কিন্তু ভুল করেছেন বলেই ঠিকটা শিখেছেন ৷
আমিরের কথায়, ‘আমি আর রিনা খুব তাড়াতাড়ি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ৷ আমার বয়স তখন ২১ আর রিনার ছিল ১৯৷ আমাদের ১৮ এপ্রিল বিয়ে হয় ৷ মাত্র ৪ মাসের পরিচয় ছিল ৷ ওই চার মাসের মধ্যেও আমরা একে অপরের সঙ্গে খুব কম সময় কাটিয়েছিলাম ৷ আমাদের মনে একে অপরকে নিয়ে ভীষণ ভালোবাসা ছিল ৷ যে কারণে আমরা বিয়েও করলাম ৷ তবে বয়স আন্দাজে বিয়েটা খুব দ্রুত হয়ে গিয়েছিল। যে কারণেই হয়তো আজকে এখানে কথাগুলো বলার মতো পরিস্থিতি হয়েছে। তবে মানুষ ভুলে থেকেই শিখে।’
আরএ/টিএ