দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। দুধে আলতা রঙের সৌন্দর্যের এ অভিনেত্রীকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। ৩৫ বছর বয়সেও কিভাবে তিনি এমন দুধ-সাদা ত্বক ধরে রেখেছেন, তা জানারও আগ্রহের শেষ নেই অনুরাগীদের। অনেকেই মনে করেন নিজেকে সুন্দর দেখাতে অভিনেত্রী মনে হয় নিয়মিত পার্লারে ও চিকিৎসকের কাছে যান।
তবে তামান্না জানালেন ভিন্ন কথা।
তামান্না ‘ভোগ ইন্ডিয়া’কে দিয়েছেন চমৎকার কিছু ঘরোয়া টিপস। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সৌন্দর্যচর্চা মানেই দামি প্রসাধনী নয়। মায়ের কাছ থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকা দিয়েই উজ্জ্বল ত্বকের দেখা পেয়েছেন তিনি।
তামান্না জানান, কিশোরী বয়সেই যখন অভিনয়ে নামেন তখন থেকেই মা তাকে শিখিয়েছেন কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে হয়। প্রতিদিনের মেকআপ, হেয়ার স্টাইলিংয়ের কেমিকেল যেন ত্বকে ক্ষতি না করে সেজন্য তিনি বেছে নিয়েছেন এমন কিছু উপাদান, যা পাওয়া যায় ঘরেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘যতটা সম্ভব অর্গানিক ও কাঁচা উপাদান ব্যবহার করতে হবে। আর ত্বকের ধরন অনুযায়ী মাস্কের পরিমাণ বা উপাদান সামান্য পরিবর্তন করাও জরুরি।
যেমন শুকনো ত্বকে মধুর পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দেওয়া ভালো।’
তামান্না ভাটিয়া শেয়ার করেছেন তার সৌন্দর্য চর্চায় দুটি সহজ কিন্তু কার্যকরী গোপন ফেস মাস্কের রেসিপি। এগুলোই তিনি ব্যবহার করেন নিজের ত্বকের যত্নে।
এক্সফোলিয়েটিং ফেস স্ক্রাব মাস্ক
উপকারিতা: ডেড সেল তুলে নরম ও মসৃণ করে তোলে ত্বক।
যা লাগবে-
১ চা চামচ চন্দনের গুঁড়া
১ চা চামচ কফির গুঁড়া
১ চা চামচ কাঁচা অর্গানিক মধু
ব্যবহারবিধি-
সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
মুখে আলতো করে গোল আকারে ম্যাসাজ করে লাগান। চোখের চারপাশে লাগাবেন না। ১০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
ময়েশ্চারাইজিং ফেস মাস্ক
উপকারিতা: ত্বককে হাইড্রেট করে, লালচে ভাব কমায় এবং শীতলতা দেয়।
যা লাগবে-
গোলাপজল
বেসন
ঠান্ডা দই
ব্যবহারবিধি-
সব উপাদান মিশিয়ে একটি মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে ও চোখের নিচেও লাগাতে পারেন। মাস্কটি শুকিয়ে এলে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
তামান্না জানান, সময় কম থাকলে শুধু এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক ব্যবহারের পর গোলাপজল দিয়ে মুখ মুছে নিলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
এসএম/এসএন