সম্প্রতি একের পর এক ছবির ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন দক্ষিণ ও হিন্দি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা হেগড়ে। ইটাইমস-কে দেওয়া এক আন্তরিক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টভাবে জানালেন, ব্যর্থতা তাঁর কাছে কখনওই ধাক্কা নয় — বরং তা এক একটি মূল্যবান শিক্ষার ধাপ।
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত সার্কাস ও রাধে শ্যাম সিনেমা দুটি দর্শকপ্রিয়তা না পেলেও পূজা মনে করেন, এমনটা হওয়া খুব স্বাভাবিক। তাঁর কথায়, “কোনো কোনো ছবির শুটিং চলাকালীনই আপনি বুঝে ফেলেন কী হতে চলেছে। তাই ফলাফল নিয়ে আমি খুব একটা অবাক হইনি।”
পূজার মতে, আমাদের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। কারণ, “যদি আমাদের ব্যর্থতার সুযোগ না থাকে, তবে কখনও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারব না।”
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি পরপর ছয়টি বড় সফল ছবি উপহার দিয়েছি। কিন্তু সেটাই চূড়ান্ত কিছু নয়। আপনি যতদিন না পরবর্তী কাজে হাত দিচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত সেই সফলতা ধরা থাকে না। প্রতিবারই নতুনভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়।”
পূজা এখন অভিনয়কে দেখছেন নিজের আত্ম-উন্নয়নের পথ হিসেবে। তিনি চান এমন ছবিতে কাজ করতে, যেগুলি তাঁকে শিল্পী হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শুধুই দর্শক টানার জন্য নয়, বরং মানসম্পন্ন গল্পে নিজের অভিনয়ের গভীরতা দেখাতে চান তিনি।
বর্তমানে পূজার হাতে রয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ছবি। একটি হল হায় জওয়ানি তো ইশক হোনা হ্যায়, যেখানে তিনি বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন। অন্যটি জননায়কন, যেখানে আবারও তাঁকে দেখা যাবে দক্ষিণী সুপারস্টার থালাপতি বিজয়ের বিপরীতে।
এই সাক্ষাৎকারে পূজা হেগড়ে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিলেন — তিনি কেবল জনপ্রিয়তার মুখ হয়ে থাকতে চান না, বরং এমন একজন শিল্পী হতে চান যিনি নিজের প্রতিটি কাজে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেন। ব্যর্থতাকে তিনি লজ্জা নয়, গর্বের সঙ্গেই গ্রহণ করেন।
টিকে/টিএ