তিন দফায় ফাইনালেও উঠেও আইপিএলে এখন পর্যন্ত শিরোপার স্বাদ পায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চতুর্থ দফায় আজ (মঙ্গলবার) পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে তাদের শিরোপা নির্ধারণী লড়াইটা ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলেছে। কখনও ম্যাচের নিয়ন্ত্রক দুইবারের ফাইনালিস্ট পাঞ্জাব, আবার খানিক বাদে তাদের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত কোহলি-পাতিদারের দল লড়াকু সংগ্রহই পেয়েছে। নির্ধারিত ওভারে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৯০ রান।
আহমেদবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অষ্টাদশ আইপিএলের ফাইনালে দুই দলই অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নামে। যেখানে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বেঙ্গালুরু। ঝড়ের আভাস দিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই ৯ বলে ১৬ রানে বিদায় নেন ওপেনার ফিল সল্ট। বেঙ্গালুরু দ্রুত উইকেট হারানোয় সম্ভবত চাপে পড়েন বিরাট কোহলি। তার ব্যাটেই দল সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর পেয়েছে, কিন্তু ইনিংসটি দলের জন্যই আত্মঘাতী। কারণ অভিজ্ঞ এই তারকা ৪৩ রান করেছেন ১২২ স্ট্রাকইরেটে।
বড় কোনো জুটি কিংবা ব্যক্তিগত স্কোর না পেলেও লড়াকু স্কোরই পেয়েছে বেঙ্গালুরু। তাদের প্রায় প্রতি ব্যাটারই ক্রিজে থিতু হয়ে ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে ছোট ছোট ক্যামিওতে তারা রানের অঙ্কটা নিয়ে গেছেন ১৯০–তে। যদিও ১৮তম ওভারে ৫ এবং শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান হওয়ায় দুইশ পেরোনোর সম্ভাবনা জাগিয়েও পূর্ণ করতে পারেননি শেফার্ড-জিতেশরা। আইপিএলের ফাইনালে এটি বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং সব ফাইনালিস্টের হিসাবে যৌথভাবে দশম সর্বোচ্চ। ফাইনালে বেঙ্গালুরু সর্বোচ্চ ২০০ রান করেও লক্ষ্যতাড়ায় হেরেছিল ২০১৬ সালে।
দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে বেঙ্গালুরুর ইনিংস মেরামতে নামেন কোহলি ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তবে ১৮ বলে ২৪ রান করে যুজভেন্দ্র চাহালের বলে ক্যাচ তুলে দেন আগারওয়াল। এরপর কোহলি ও পাতিদার মিলে ৪০ রানের জুটি বাঁধেন। কোহলি কিছুটা চড়াও হয়ে ওঠার পরই আউট হয়ে যান ফিফটি থেকে সাত রানের দূরত্বে। ৩৫ বলে ৩ চারে করেন ৪৩ রান। এরপর পাতিদার (১৬ বলে ২৬), লিয়াম লিভিংস্টোন (১৫ বলে ২৫), জিতেশ শর্মা (১০ বলে ২৪) ও রোমারিও শেফার্ড (৯ বলে ১৭) ক্যামিও ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন।
বেঙ্গালুরুর হয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন বিজয়কুমার বৈশাক। ১৭তম ওভারে কাইল জেমিসনকে পিটিয়ে ২৩ রান তোলেন জিতেশ-লিভিংস্টোনরা। কিন্তু পরের ওভারে এসে বিজয়কুমার দেন মাত্র ৫ রান। ফলে মোমেন্টাম পেয়েও হারিয়ে ফেলে বেঙ্গালুরু। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে বিজয়কুমার ৩০ রান খরচায় নেন ১ উইকেট। সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন আর্শদীপ সিং ও জেমিসন।
![]()
পিএ/টিএ