নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সফল কোচ গ্যারি স্টিড কিউই ক্রিকেটকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী মাসে চুক্তির মেয়াদ শেষ করেই দীর্ঘ ৭ বছর পর কিউই ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। নিউজিল্যান্ড দলকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতানো গ্যারি স্টিড দলকে ধারাবাহিকতার মাঝে রেখেছিলেন অনেকটা সময় ধরেই।
তিনটি বৈশ্বিক আসরের ফাইনালে দলকে খেলিয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলকে জিতিয়েছেন ৩-০ ব্যবধানে। এতকিছুর পরেও নিজেকে কদিন আগেই সাদা বলের ক্রিকেট থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। সময় দিয়েছিলেন লাল বলের ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনার জন্য। তবে শেষ পর্যন্ত চুক্তির শেষেই বিদায় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে মাইক হেসনের জায়গায় কোচ হয়ে দায়িত্ব নেন। পরের বছরই ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে গিয়েছিলেন দলকে। সেখানে বেশ নাটকীয় এক ম্যাচ শেষে একটি বাউন্ডারির কারণে বিশ্বকাপ শিরোপা হারাতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে।
এরপর ২০২১ সালে স্টিডের অধীনেই ভারতের বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে নিউজিল্যান্ড। যা দেশটির ইতিহাসে প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা। এছাড়া ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনাল, এবং আরও দুটি সেমিফাইনাল (২০২২ টি-২০, ২০২৩ ওয়ানডে) দলের কোচ হিসেবে ছিলেন গ্যারি স্টিড।
লম্বা সময় পর দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্যারি স্টিড বলেন, ‘গত সাত বছরে যা কিছু করেছি, তার মূল ভিত্তি ছিল দেশের জন্য সেরা খেলা দেওয়া। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও মাইক হেসনের রেখে যাওয়া ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা আরও পরিণত হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল — ধারাবাহিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং প্রতিপক্ষকে জানান দেওয়া, ব্ল্যাকক্যাপস সহজে ভাঙে না।’
তার ভাষ্য, ‘পাঁচ মিলিয়ন মানুষের ছোট একটি দেশের হয়ে কাজ করা, যেখানে সম্পদ সীমিত, তবুও আমরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছি — এটা গর্বের।’
তবে এখনই কোচিং পেশাকে বিদায় বলছেন না গ্যারি স্টিড। আপাতত বিশ্রাম নিতে চান, সময় দিতে চান পরিবারকে। এরপরেই নতুন কোনো জায়গায় আবার কাজ করার ঘোষণা দেবেন ৫৩ বছর বয়েসী এই কোচ।
আরআর/টিকে