বাংলাদেশের হজযাত্রীরা ইতোমধ্যেই মিনায় পৌঁছেছেন। অন্যান্য দেশের হজযাত্রীরাও এখানে একত্রিত হয়েছেন। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হজ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং দলের দলনেতা ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিকও এখন মিনায় অবস্থান করছেন।
বুধবার (৪ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীক।
এতে বলা হয়, ৮ জিলহজ মিনায় আগমনের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। সৌদি সরকারের নির্দেশনায় গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই হাজিরা মিনায় আসতে শুরু করেন। হাজিদের আগমন নির্বিঘ্ন করতেই এরূপ নির্দেশনা জারি করে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। মিনার বিস্তীর্ণ প্রান্তর এখন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত।
বিত্ত-বৈভব, কামনা-বাসনাকে পরিত্যাগ করে হাজিরা আল্লাহর সান্নিধ্য ও ক্ষমাপ্রত্যাশী। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় হাজিদের মন ব্যাকুল। তারা পাপতাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। হাজিদের পরিধেয় সেলাইবিহীন শুভ্র দুই টুকরা কাপড়।
আজ তারা ধন-সম্পত্তির জন্য লালায়িত নয় মোটেও। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে চায়। তারা আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে পরিশুদ্ধ হতে চায়। সদ্যভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হতে চায়।
মিনা হতে আজ রাতেই আরাফাতে রওনা হবেন হাজিরা।
ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য আগেভাগেই হাজিদেরকে আরাফাতে নিতে বলেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। আগামীকাল ৯ জিলহজ সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পূর্বে কিছু সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। এরপর হাজিরা মাগরিবের নামাজ না পড়েই মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে হাজিরা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন এবং মুজদালিফায় রাত্রিযাপন করবেন।
প্রসঙ্গত, এ বছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী হজপালনের জন্য সৌদি আরবে এসেছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৭ হাজার ১০০ জন।
পিএ/এসএন