বাংলাদেশে বিএনপিই প্রথম ভারতবিরোধী আন্দোলন শুরু করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর শান্তিনগরে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিএনপি ভারতকে খুশি করার জন্য ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় এমন প্রসঙ্গে যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, বাংলাদেশে ভারতবিরোধী আন্দোলন আমরাই প্রথম করেছি কিন্তু। ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের উপদূতাবাসে হামলার পর কেউ কিন্তু লং মার্চ করেনি।
আমরা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল লং মার্চ করেছি। আখাউড়া সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত আমরাই গিয়েছি। যারা (এনসিপি) এখন বড় বড় কথা বলছে তারা কেউই প্রতিবাদ করার সাহসও দেখায়নি।
তিস্তা চুক্তির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে বিএনপি নেতৃত্ব আন্দোলন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে তিস্তার ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি টানা কর্মসূচি পালন করেছে। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে ১০ লক্ষাধিক সাধারণ মানুষের উপস্থিতি করেছে বিএনপি।
সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দিয়েছিলেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ভারতবিরোধী এমন শক্ত অবস্থানের পরে আমরা কীভাবে ভারতের দালালি করছি, নাকি ওরা করছে (এনসিপি) ওদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানও ভারতের ফারাক্কা বিরোধী লং মার্চ করেছিলেন মওলানা ভাসানীকে দিয়ে। সুতরাং আমরাই ভারতবিরোধী অবস্থানে আছি। আমরা প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। প্রতিবেশী কি বললো আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমরা নির্বাচন চেয়েছি, তারা কি বলছে তাদের কথার সঙ্গে আমাদের কথার মিল আছে কি নেই সেটাতো আমরা হিসাব করে কথা বলছি না। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বলছি।
কয়েকদিন আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বিএনপিকে উদ্দেশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাস্টাসে লেখেন, ডিসেম্বরের মধ্যে যারা নির্বাচন চাইছে তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করছে, এই ধরনের হুমকি তরুণরা মেনে নেবে না। যারা ক্ষমতা লোভে বেহুঁশ হয়ে আছেন, তাদের হুঁশে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি।
নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে যুবদল সভাপতি বলেন, আমরা নির্বাচনের বিষয়ে বেঁহুশ হওয়ার মতো কাজ করছি না।
অল্প পানির মাছ গভীর পানিতে পড়লে যে রকম করে তারা ওইটাই করছে। আমি কিন্তু মিস্টার পাটোয়ারীকে বলেছি কথাবার্তা সংযত হয়ে বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। তারা নির্বাচনে মাঠের বাইরে থেকে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। বেঁহুশ কারা হয়ে গেছে? আমরা জনগণের ম্যান্ডেট চাইছি, ভোটের অধিকার চাইছি।
এখানে তো বেহুঁশ হওয়ার তো কোনো কথা আমরা বলছি না। আপনি জনগণ, আমি জনগণ। আমরা আমাদের ভোটের অধিকার চাই। এই কথার মাধ্যমে আমরা কোনো অন্যায় কিছু বলছি নাকি। বেঁহুশ তো তারা হচ্ছে। তাদের একজন উপদেষ্টা বলেছিলো এনসিপির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই।
তাহলে ৩১ মে একটা ক্যাফে রেস্টুরেন্টে গোপন মিটিং করলো কেন? ওই মিটিংয়ে তাসনিম জারা ছিলো, ওখানে আসিফ মাহমুদ ছিলো। তাহলে কারা কথার বরখেলাপ করছে?
তিনি আরও বলেন, তারাতো কোনো রাজনৈতিক আচরণ করছে না। রাজনৈতিক আচরণ তো আমরা করছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান প্রত্যেকটি বক্তব্যে মানুষকে সম্মান করে কথা বলছেন, প্রত্যেকটি দলকে সম্মান করে কথা বলছেন।
আরএম/এসএন