স্বপ্নের মতো শুরু হামজা চৌধুরীর। দেশের মাটিতে অভিষেক ম্যাচেই গোল পেয়েছেন তিনি। সেই গোলটিও এসেছে ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথায়। ম্যাচে লেস্টার সিটির মিডফিল্ডারের এমন শুরু বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করেছে বলে জানিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
দলের বাকি গোলটি সোহেল রানার।
ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলের জয়ে খুশি হওয়া কাবরেরা ম্যাচ শেষে এমনটিই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হামজা সত্যিই দারুণ খেলেছে। বিশেষ করে শুরুতে।
সে যখন ভালো খেলছিল তখন বাকিরাও আত্মবিশ্বাস পেয়েছে।’
জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে হেডে অভিষেক গোলটি করেন হামজা। হেড থেকে পাওয়া তার গোলে অবাক হননি বলে জানিয়েছেন কাবরেরা। কেননা ম্যাচের আগে সেট পিস নিয়ে কাজ করা হয়েছে।
স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, ‘খেলার আগেই আমরা সেট পিস নিয়ে কাজ করেছি। তাই হামজার গোলে অবাক হইনি।’
বাংলাদেশের খেলা দেখতে আজ হাজারো দর্শক-সমর্থক আসেন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে। গলা ফাটিয়ে সমর্থন দিয়েছেন পুরো দলকে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে পরের ম্যাচে আরো বেশি সমর্থন আশা করেন বলে জানিয়েছেন কাবরেরা।
বাংলাদেশের কোচ বলেছেন, ‘এটা সত্যি দারুণ ছিল। গ্যালারির আবহ ছিল খুবই প্রাণবন্ত। আশা করি পরের ম্যাচে আরো বেশি হবে।’
আজ ফাহমিদুল ইসলামের মতো অভিষেক ম্যাচ খেলেছেন তাজ উদ্দিনও। দুজনের খেলার প্রশংসা করে কাবরেরা বলেছেন, ‘আমাদের শুরুটা দারুণ ছিল। বিশেষ করে প্রথমার্ধ। আমি উদ্বিগ্ন হতাম যদি সুযোগ তৈরি করতে না পারতাম। আমি খুশি ছেলেরা সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে। ফাহমিদুল এবং তাজ প্রথম ম্যাচ খেলেছে। সব মিলিয়ে প্রত্যেকের পারফরম্যান্সে খুশি।’
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আজ সকালেই ঢাকায় এসেছেন শমিত শোম। তবে আজকের ম্যাচে তাকে রাখেননি কোচ। তার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের বিষয়ে কাবরেরা বলেছেন, ‘প্রথমত, এই লাইনআপ নিয়ে খুশি। শমিতের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ ইতিবাচক ছিল। দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আমরা তাকে সামনে টেকটিক্যালি দেখব।’
এসএন