বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য টেকসই ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এক যৌথ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদর দপ্তরে এই সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক মিয়া সেপ্পো।
এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মী কল্যাণ সংস্থা কে-কমওয়েল (কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেসন এন্ড ওয়েলফেয়ার সার্ভিস), যা সামাজিক সুরক্ষা খাতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি প্রতিষ্ঠান।
চুক্তির আওতায় কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন, পেশাগত রোগ কভারেজ এবং প্রশাসনিক ব্যয়ের ওপর একটি যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালিত হবে। ইআইএস (ইমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম) বাস্তবায়নে দুই দেশ কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং নীতিনির্ধারকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর কাজ করবে।
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের কে-কমওয়েল সফর এবং আইএলও ও জিআইজেড-এর সহযোগিতায় চলমান পাইলট প্রকল্পের সাফল্য।
যদিও এই সমঝোতা স্মারক আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করে না, তবে এটি ভবিষ্যতে একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় ইআইএস চালুর পথ সুগম করবে। ইআইএস বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য একটি ন্যায্য ও কার্যকর সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, উভয় দেশ আইএলও-এর কনভেনশন ১২১ (১৯৬৪) অনুযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রকল্পে আইএলও, জিআইজেড এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও মালিক পক্ষের প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা থাকবে।
এমআর