বলিউডে নতুন যুগের মুখ হয়ে উঠেছেন ওয়ামিকা গাববি। 'জুবিলি', 'গ্রহণ', 'মডার্ন লাভ মুম্বই' কিংবা 'এইট্টি থ্রি'— প্রতিটি কাজেই তিনি প্রমাণ করেছেন নিজের প্রতিভা। তবে এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ লড়াই, অব্যক্ত যন্ত্রণা আর বছরের পর বছর অপেক্ষার গল্প।
সম্প্রতি এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে ওয়ামিকা জানিয়েছেন, এমনও সময় এসেছিল যখন তিনি ভেবেছিলেন অভিনয় ছেড়ে দেবেন। অনেকবার চেষ্টা করেও কাজ না পাওয়ার কষ্টে ভেঙে পড়েছিলেন। নিজেই বললেন, মনে হতো এটা আমার জন্য নয়, মনে হতো সব শেষ। কিন্তু ভেতরে জমে থাকা বিশ্বাস আর ধৈর্যই তাকে নতুন পথ দেখিয়েছে। তার কথায়, হয়তো ঈশ্বর চাইতেন আমি মাটিতে পা রেখে এগোই, তারপর তিনিই দিন যা আমার প্রাপ্য।
বলিউডের অনেক বহিরাগত শিল্পীর মতোই তিনিও অনুভব করেছেন চলচ্চিত্র পরিবারে জন্ম না নেওয়ার অভাব। ইচ্ছে করত যদি আমরা খুব ধনী হতাম, তাহলে মুম্বইয়ে আরও অনেক কিছু করতে পারতাম—এই কথাটিও অকপটে বলেন তিনি। তবে এখন তিনি কৃতজ্ঞ, কারণ তার পরিবার আর সেই কঠিন সময়গুলোই তাকে গড়ে তুলেছে।
ওয়ামিকা মনে করেন, শান্তি চাইলে ঈশ্বর আগে অশান্তি দেন, যেন মানুষ নিজেই শিখে নিতে পারে কীভাবে শান্তি খুঁজে পেতে হয়। প্রত্যাখ্যান, বিলম্ব আর হার—এইসবই তাঁকে গড়ে তুলেছে এক গভীর ও পরিণত অভিনেত্রী হিসেবে।
তার নিজের ভাষায়, স্বপ্ন সত্যি হলেও আমি ঠাণ্ডা থাকি, মাটিতেই থাকি, আর আমি কিছুই বদলাতে চাই না। তিনি শুধু আরেকজন উঠতি অভিনেত্রী নন, বরং তার জার্নি প্রমাণ করে কৃতজ্ঞতা, ধৈর্য আর আত্মবিশ্বাস থাকলে কোনও স্বপ্নই অসম্ভব নয়। কঠিন পথ বেছে নিয়ে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন সাফল্যের আরও এক গর্বের দৃষ্টান্ত।
এমআর