কুষ্টিয়ার সাবেক দুই সংসদ সদস্য (এমপি) কামারুল আরেফিন ও সেলিম আলতাফ জর্জের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একই সাথে কামারুলের ৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশও দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ছুমিয়া খানম এ আদেশ দেন। কুষ্টিয়া দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন,‘কয়েকদিন আগে পৃথক আবেদন করা হয়েছিল। আজ (বুধবার) আদেশগুলো হয়েছে।’কামারুল আরেফিন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আর সেলিম আলতাফ জর্জ কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য।
আদালত ও দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদক অনুসন্ধান করে কামারুল আরেফিনের ৬টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৯৫ লাখ ১৬ হাজার ৬১৪ টাকার তথ্য পায়। এসব অর্থ হস্তান্তর বা হাতবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার নামের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করে দুদক। আদালত শুনানি শেষে এই আবেদন মঞ্জুর করেন এবং তার ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দেন।
একই সাথে কামারুল আরেফিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।কামারুল আরেফিনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। গত বছরের ৫ আগষ্ট পর তিনি পলাতক রয়েছেন।অপরদিকে দুদক একই আদালতে সেলিম আলতাফ জর্জের বিরুদ্ধে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে।
দুদক আদালতকে জানায় সেলিম দেশ থেকে পলায়নের চেষ্টা করতে পারে। দুদকের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আবশ্যক। পরে শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
সেলিম আলতাফ জর্জের বিরুদ্ধে ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় জুলাই-আগষ্ট ছাত্র জনতা গণঅভ্যুত্থানে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া কারাগারে রয়েছেন।
এমআর