সকালে কিংবা বিকেলে অথবা রাতে যে কোনো সময় খেতে পারেন এক কোয়া কাঁচা রসুন। এমনি খেতে অসুবিধে হলে, ধনেপাতার সঙ্গে বেটে নিন। নারকেল বা কচু বাটায় মেশান। সালাদ বা দইয়ে মেশান। যে কোনো কিছুর সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন কাঁচা রসুন।
রসুনের অনেক গুণ। চোখ ভালো রাখা থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত রসুন খেলে শরীরের নানা উপকার হয়।আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যানসারের চিকিৎসায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে৷ হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
রসুন খাওয়ার উপকারিতা-
১. রক্তচাপ কমায়। চার কোয়া করে খেলে সে রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে ওষুধের সঙ্গেও পাল্লা দিতে পারে।
২. টোটাল এবং এলডিএল কোলেস্টেরল প্রায় ১০–১৫ শতাংশ কমে যায়৷ তবে উপকারি কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়াতে ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এর কোনো ভূমিকা নেই।
৩. বিপাকীয় ক্রিয়া ও পরিবেশ দূষণের ফলে যে ফ্রি র্যাডিক্যালস তৈরি হয় তা হার্ট তথা সমস্ত শরীরের জন্য ক্ষতিকর৷ রসুনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সেই ক্ষতি খুব ভালোভাবে ঠেকাতে পারে।
৪. যে সমস্ত হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী নিয়মিত রসুন খান, তারা অনেক বেশি অ্যাকটিভ থাকেন।
৫. অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রাও বেশি থাকে কাঁচা রসুনে। ফলে অ্যালঝাইমার ও ডিমেনসিয়ার প্রকোপ কমে৷ সংক্রমণজনিত অসুখ-বিসুখ কম হয়৷ বাড়ে আয়ু।
৬. ইস্ট্রোজেন লেভেল বেড়ে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো হয় মেয়েদের।
৭. লেড টক্সিসিটি কমাতে কাজে লাগে।
৮. সবচেয়ে ভালো ফল পেতে গেলে সাপলিমেন্ট না খেয়ে খেতে হবে কাঁচা রসুন।
কাঁচা রসুনই কেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা রসুনের যত উপকার, প্রক্রিয়াকরণের পরে তা আর তত থাকে না। যেমন, কাঁচা রসুন কাটলে বা বাটলে যে ঝাঁঝালো গন্ধ বেরোয় তার মূলে আছে অ্যালিসিন৷ শরীরে বেশি ঢুকলে সে বিষক্রিয়া ঘটায়৷ আর মাপ মতো হলে কাজ করে ওষুধের মতো।
রসুন কাটা বা বাটার পর সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে না নিলে এর গুণাগুণ আস্তে আস্তে উবে যায়৷ সে জন্যই রসুন শুকিয়ে বা রান্নায় দিয়ে খেলে উপকার কমে যায়৷ প্যাকেটের রসুন বাটা বা সাপ্লিমেন্টেও এই উপকার থাকে না৷ তাই স্বাস্থ্যের জন্য কাঁচা রসুন খাওয়াই অনেক বেশি উপকারি।
এমআর