সামনেই বাংলাদেশ সিরিজ। ১৭ তারিখ থেকে শুরু হবে টেস্ট। তবে এর সপ্তাহদুয়েক আগে আদালতে দেখা গেল শ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের। সেটাও নারী-পুরুষ দুই দলের সদস্যরাই। ঠিক কী কারণে আদালতে, সেটা অবশ্য খানিক অবাক করার মতোই। খবর বলছে, নিজেদের ওপর আরোপিত কর কমাতেই নাকি আদালতে শুনানি দিতে গিয়েছিলেন তারা।
দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা নিয়মিতই দেশটির বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিতে থাকেন। এর মাধ্যমেই তারা মাসিক বেতন পান, সঙ্গে থাকে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও। তবে এমন সুবিধা গ্রহণের পরেও ক্রিকেটারদের দাবি, তারা বোর্ডের অধীনে সরাসরি চাকরি করেন না।
আর সেই কারণে সরকারি চাকুরিজীবীদের মতো করে কর দিতেও রাজি নন তারা। এই দাবি সামনে এনেই হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন দেশটির ক্রিকেটাররা। তাদের মধ্যে রয়েছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা, টেস্ট অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, নারী দলের অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু এবং উইকেটরক্ষক আনুশকা সঞ্জীবনী।
রিটটি করা হয় শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগকে (আইআরডি) কেন্দ্র করে। আইআরডি’র মতে, এসএলসির সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে খেলোয়াড়রা সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং সেই অনুযায়ী কর দিতে হবে। কিন্তু ক্রিকেটাররা এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত নন।
এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে সর্বশেষ শুনানি হয়েছে গতকাল বুধবার। সেখানে আদালতের উপস্থিতিতে দুই পক্ষ আপাতত এক ধরনের সমঝোতায় পৌঁছেছে। এখন থেকে করদানের বিষয়টি সাময়িকভাবে ব্যক্তিগত হিসেবেই চালু থাকবে। তবে আদালতের চূড়ান্ত রায় যদি আইআরডির অনুকূলে যায়, তাহলে যেসব মাসে ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগতভাবে কর দিয়েছেন, সে সময়ের জন্য বাড়তি কর গুনতে হবে তাদের।
মামলার চূড়ান্ত শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৬, ১৪ ও ১৮ নভেম্বর। তখনই নির্ধারিত হবে, ক্রিকেটারদের করব্যবস্থা কীভাবে চলবে— বোর্ডের অধীনে চাকরিজীবী হিসেবে, নাকি স্বাধীন পেশাজীবী হিসেবে।
টিকে/টিএ
