ভারতের দিল্লিতে আদালতে নেওয়া হয়েছিল তিহার জেলের তিন কয়েদিকে। তাদের রাখা হয় কোর্ট লকআপে। সেখানেই ঝগড়া, তারপর খুন। একজনকে গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন অন্য দুজন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দিল্লির সাকেত কোর্টে এ ঘটনা ঘটেছে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, মৃত আসামির নাম আমান। তিহারের ৮ নম্বর জেলের কয়েদি তিনি। তাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরাও একই জেলেরই কয়েদি।
জেলে আমানের বিরোধী গোষ্ঠীর লোক তারা। তাদের একজনের নাম জিতেন্দ্র।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জিতেন্দ্র ও আমানের পুরনো শত্রুতা ছিল ২০২৪ সালের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ওই ঘটনায় আমানের বিরুদ্ধে জিতেন্দ্র ও তার ভাইকে মারধরের অভিযোগ ছিল।
বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনিল বাসোয়া বলেন, ‘এটি নিন্দনীয় একটি ঘটনা। এতে আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। তিন বন্দির মধ্যে মারামারি হয়েছিল। সেখানে কোনো অস্ত্র ব্যবহার হয়নি। পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত করছে।
পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।’
দিল্লি পুলিশ আরো জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং মারামারির পেছনের কারণ জানতে তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং হত্যা মামলা রুজু করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালেও সালেত আদালতে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। সেবার এক নারীকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দিয়েছিলেন এক আইনজীবী। পরে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভি
আরএম/এসএন