ত্রিদেশীয় সিরিজে ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের মানসিক দৃঢ়তায় গর্বিত কোচ পিটার বাটলার। প্রতিকূল কন্ডিশনে ফুটবলাররা যেভাবে সাহসের সঙ্গে পারফর্ম করেছে, তাতে মুগ্ধ কোচ।
আগামী ২৯ জুন থেকে শুরু হওয়া এফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ফুটবলারদের কাছে এমন ধারাবাহিকতা চান বাটলার।
দেশের ফুটবলের বাক বদলের কাণ্ডারি সাবিনা, সানজিদাদের রেখে একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে জর্ডানে পাড়ি জমিয়েছিলেন কোচ পিটার বাটলার। কিং আব্দুল্লাহ স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেই পারেন কোচ। গত বছর দ্বিতীয়বারের মতো সাফ জয়ের পর থেকেই শুরু বাটলার-সিনিয়র ফুটবলার দ্বন্দ্ব।
নারী ফুটবলের সুখের ঘরে দুঃখের আগুন নেভার দাবি করা হলেও, অস্থিরতা রয়েই গেছে। কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই দলে জায়গা হয়নি সাবিনা, সানজিদা, মাসুরাদের মতো অভিজ্ঞদের। তারুণ্য নির্ভর একটা দল নিয়ে ভালো করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন বাটলার।
জর্ডানে ত্রিদেশীয় সিরিজে সে পরীক্ষায় অবশ্য পাশ করেছেন কোচ। প্রথম ম্যাচে ফিফা র্যাংকিংয়ে ৩৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র। পরের ম্যাচে ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা জর্ডানকে তাদের মাটিতেই রুখে দেয় বাংলার মেয়েরা।
অথচ ২০২১ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এই জর্ডানের কাছেই ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। আরব আমিরাতের দুঃসহ অভিজ্ঞতার পর, জর্ডানে ত্রিদেশীয় এই সিরিজে নারী ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত কোচ পিটার বাটলার। বড় দলগুলোর বিপক্ষে আফঈদা-রিপাদের মানসিক দৃঢ়তায় গর্বিত কোচ পিটার বাটলার।
‘ত্রিদেশীয় সিরিজে ফুটবলাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। মেয়েদের মানসিক দৃঢ়তা, দলের প্রতি তাদের নিবেদন আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি ওদের নিয়ে গর্বিত। দলের কোচিং স্টাফরাও কঠোর পরিশ্রম করেছে। জর্ডানের বিপক্ষে আমরা দুর্দান্ত একটা বাংলাদেশ দলকে দেখেছি। যেটা এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে আত্মবিশ্বাস যোগাবে।’
প্রতিকূল কন্ডিশনে ফুটবলারদের খেলার ধরনেরও প্রশংসা করেছেন বাটলার। ‘ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে প্রতিকূল কন্ডিশনে ওরা যেভাবে খেলেছে, সেটাতো প্রশংসার দাবি রাখে। শেখার জন্য দারুণ একটা সপ্তাহ ছিলো ওদের। যে কৌশলে আমরা খেলতে চেয়েছি, সেটা আমরা পেয়েছি।
ওরা কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছে।’
২৯ জুন বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই মিশন। গ্রুপে লাল সবুজের অন্য দুই প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান ও মিয়ানমার।
আরএম/এসএন