আসন্ন ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও ডাকাতি ছিনতাই রোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর নিরাপত্তায় রোবাস্ট পেট্রোল, বিশেষ টহল ও চেকপোস্ট পরিচালনা করছে র্যাব-১১। এ ছাড়া মহাসড়কে তিন পর্বের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান র্যাব-১১ এর সিও লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের এই সিও বলেন, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো শহরের মানুষ নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। এই সড়কে ঈদের সময়ে নানা ধরনের চুরি-ছিনতাই ডাকাতির মত অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে। নির্বিঘ্নে শহরের মানুষগুলো যেন গ্রামের গিয়ে স্বজনদের সাথে ঈদ উদ্যাপন করতে পারে সেই লক্ষ্যে মহাসড়কগুলোতে আমাদের এই অ্যাগ্রেসিভ পেট্রোল ও এক্সটেনসিভ পেট্রোল পরিচালনা করা হবে।
র্যাবের এই কার্যক্রমকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদ পূর্ববর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ঈদের দিন ঈদ জামাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ঈদ পরবর্তী রাস্তায় যানজট এবং শহরে ফিরে আসার সময় মানুষের যাতায়াতের নিরাপত্তার জন্য এ সব ব্যবস্থা থাকবে।
এ ছাড়া ঈদের পরে বাজার ম্যানেজমেন্ট ও মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে একযোগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ সব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি, নিয়মিত চেকপোস্ট এবং হাইওয়েতে রোবাস্ট পেট্রোলিং।
আরআর/এসএন