বয়সটা ৪০, তবুও থামার কোনো নাম নাই পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। এখনও ছুটছেন দুর্দান্ত গতিতে, গোল করছেন, করাচ্ছেন। সবশেষ নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে গোল করেছেন সিআরসেভেন। তবে যে জার্মানির বিপক্ষে রোনালদো খেলেছেন, খোদ সেই দলটাতেই যে ছিলো তারই এক ভক্ত! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ম্যাচ হারলেও প্রিয় আইডলকে সামনে পেয়ে ছবিও তুলেছেন জার্মান ফুটবলার আলেকজান্ডার পাভলোভিচ।
বিশ্ব ফুটবলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ভক্ত-সমর্থক কম নয়। শুধু যে দর্শকরাই তাকে ভালোবাসেন, আইডল মানেন, ব্যাপারটা এমন নয়। রোনালদোকে আইডল মানেন, এমন ফুটবলারের অভাব নাই গোটা বিশ্বে।
এই যেমন, বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে রোনালদোকে আইডল মানেন। এছাড়া আরও যে কত ফুটবলার আছেন তার ভক্ত, সে হিসেব হয়তো কারোর কাছেই নেই।
বুধবার (৪ জুন) দিবাগত রাতে নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো জার্মানি ও পর্তুগাল। যদিও সে ম্যাচটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় পর্তুগিজরা। তবে ম্যাচ হারলেও প্রিয় আইডলকে পেয়ে ছবি তুলতে ভুল করেননি তারই বিপক্ষে খেলা জার্মান ফুটবলার আলেকজান্ডার পাভলোভিচ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবশ্য সেই ছবিটা পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে রোনালদোকে ধন্যবাদও দিয়েছেন তার ভক্ত। লিখেছেন, ‘আমার আইডলের বিপক্ষে খেলাটা আমার জন্য বিশেষ কিছু এবং এমন কিছু যা আমি কখনই ভুলবো না।’ ক্যাপশনের শেষে রোনালদোকে ট্যাগ করে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে জার্মানির বিপক্ষে টানা পাঁচ হার ও ২৫ বছর পর জয়ের মুখ দেখলো পর্তুগিজরা। বায়ার্ন মিউনিখের অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ৪৮ মিনিটে গোল হজম বরে বসে পর্তুগাল। গোল করে স্বাগতিক দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান ফ্লোরিয়ান উইয়ার্টজ। এরপর একের পর আক্রমণ করে পর্তুগিজরা।
বেঞ্চ ছেড়ে এসে দারুণ এক গোল করেন ফ্রান্সিসকো কন্সেইসাও। ৬৩ মিনিটে সমতায় ফেরে পর্তুগাল। এর আগে কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন রোনালদো। শেষ অবধি গোল পেলেন তিনিও। ৬৮ মিনিটে গোল করেন রোনালদো। এই গোলটিই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
দেশের জার্সিতে এটা রোনালদোর রেকর্ড (সর্বোচ্চ) ১৩৭তম গোল। তবে নেশন্স লিগে অষ্টম ম্যাচে এটা সপ্তম গোল। তবে জার্মানির বিপক্ষে ‘সিআর সেভেনে’র গোল হলো স্রেফ দুটি।
এফপি/এস এন