আইপিএল শিরোপা জয়ের পরের দিন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ছিল আরসিবি বরণপর্ব। ১৮ বছরের আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বেঙ্গালুরু। আর তাই চ্যাম্পিয়ন দলকে একবার দেখবে বলে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। স্টেডিয়ামের ভিতরে যখন ‘আরসিবি বন্দনা’, বাইরে তখন পদপিষ্টের ঘটনায় ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেটের কাছে। আর এই ঘটনায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকেই দুষছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সৈয়দ কিরমানি।
কিরমানি আরসিবি’র সেলিব্রেশনকে ‘প্রাণঘাতী বিজয়োল্লাস’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার ক্ষেত্রে আরসিবি আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে পারত। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কিরমানি বলেন, “শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের জন্য একে প্রাণঘাতী বিজয়োল্লাস বলাই যায়। আমাদের সময়ে তো মিডিয়ার এত রমরমা ছিল না। টিভি ছিল না। এমন কোনও কিছু ছিল না যাতে এই ধরনের ভয়ংকর ঘটনা ঘটতে পারে।”
তাঁর সংযোজন, “একটা দল আইপিএল জয়ের জন্য ১৮ বছর অপেক্ষা করেছে। তাই সেলিব্রেশনের জন্য আরও কিছুটা অপেক্ষা করাই যেত। তখন এই উন্মাদনা কিছুটা কম হতে পারত। তাই কিছুদিন পর এমন অনুষ্ঠান করলে মর্মান্তিক এই ঘটনা এড়ানো যেত।”
কিরমানি আরও বলেন, “আমাদের সময়ের সমর্থকরা আজকালকার মতো ছিল না। এখনকার সমর্থকরা, বিশেষ করে আইপিএলে, অনেক বেশি আবেগপ্রবণ। আইপিএলের নায়কদের একঝলক দেখার জন্য লক্ষ ল্কখ মানুষের সমাগম হয়। এটা ভাবাই যায় না।” উল্লেখ্য, একাধিক
সংবাদমাধ্যমের দাবি , বুধবার গোটা সেলিব্রেশনের অনুষ্ঠানেই নাকি আপত্তি ছিল বেঙ্গালুরু পুলিশের। কিন্তু সেই আপত্তি শোনেনি আরসিবি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই পুলিশ আরসিবির অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়।
এমআর