আইপিএল জয়ের আনন্দ বদলে গিয়েছে মৃত্যুর বিষাদে। বেঙ্গালুরু বিজয়োল্লাসে মৃতদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। মৃতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। তদন্তেরও নির্দেশ দেন। এদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিবৃতি জারি করেছে আরসিবি। সোশাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেন বিরাট কোহলি ও শচীন তেন্ডুলকর।
আরসিবি। জানানো হয়েছে, “বেঙ্গালুরুতে এদিন দলের ফেরার সময় বিশাল জনসমাগম হয়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নানা তথ্য অনুযায়ী জানতে পারি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আমরা মর্মাহত। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণহানির ঘটনায় শোকস্তব্ধ। স্বজনহারা পরিবারকে সমবেদনা জানাই।” এই বিবৃতিই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন বিরাট কোহলি। লেখেন, “অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।”
ইনস্টা স্টোরিতে শোকপ্রকাশ করেন শচীন তেন্ডুলকরও। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাইরে ঘটা পদপিষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনাকে ‘বিপর্যয়ের চেয়ে বেশি’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। নিহতদের পরিবারের জন্য হৃদয় কাঁদছে তাঁর। সকলকে শান্তি এবং শক্তি দেওয়ার আর্জি জানান।
আরসিবি আইপিএল জেতার পর থেকেই বেঙ্গালুরুজুড়ে বিজয়োল্লাস চলছে। বুধবার শহরে একটি রোড-শো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা প্রশাসন বাতিল করে যানজটের কথা ভেবে। বদলে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেলিব্রেশনের আয়োজন করে কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা। সেটাতেই বিপত্তি। এই সেলিব্রেশনের জন্য লক্ষ লক্ষ সমর্থক জড়ো হন স্টেডিয়ামের বাইরে।
স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য আলাদা পাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষ সেখানে জড়ো হন। রাস্তায় বিরাট যানজট হয়ে যায়। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়ে। প্রাণে বাঁচতে সমর্থকরা একে-অপরকে টপকে পালাতে যান। তাতে পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
এমআর