যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভিসা দেয়া স্থগিত করেছে আফ্রিকার দেশ চাদ।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দেশটির প্রেসিডেন্ট এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার চাদসহ ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়ায় চাদ পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানাল।
চাদের প্রেসিডেন্ট মাহামাত ইদ্রিস ডেবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি সরকারকে পারস্পরিক সহযোগিতার নীতি অনুসারে কাজ করার এবং মার্কিন নাগরিকদের ভিসা দেয়া স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাদের দেয়ার মতো না কোনো বিমান আছে, না আছে শতকোটি ডলার দেয়ার সামর্থ্য; তবে চাদের আছে আত্মমর্যাদা ও গর্ব।’
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী সোমবার (৯ জুন) থেকে এটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বার্তা সংস্থার এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের নাগরিকেরা।
এছাড়া আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন ট্রাম্প। দেশগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, সম্প্রতি কলোরাডোর বোল্ডারে ইসরাইলপন্থিদের সমাবেশে হামলার ঘটনায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসী থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ইউরোপে যা ঘটেছে তা আমেরিকার সঙ্গে আমরা ঘটতে দেব না। আমরা এমন লোকদের আমাদের দেশে প্রবেশ করতে দেব না যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়।’
ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প আরও বলেন, ‘বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আমাদের দেশের জন্য কতটা চরম বিপদের জন্ম দিয়েছে, কলোরাডোর সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সেটাই তুলে ধরেছে। আমরা তাদের চাই না।’
এসএম/টিকে