গুমের ঘটনায় প্রধান ভূমিকা পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি ও সিটিটিসির, তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন

দেশে সংঘটিত বেশিরভাগ গুমের পেছনে পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) জড়িত ছিল। এমন তথ্য উঠে এসেছে গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে।

গত বুধবার (৪ জুন) ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ: অ্যা স্ট্রাকচারাল ডায়াগনোসিস অব এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রতিবেদনের দুটি অধ্যায় প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গুমের শিকার ব্যক্তি, প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এসব ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়ী করেছেন। এ ছাড়া পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন ইউনিটের বিরুদ্ধে গুমে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে এসেছে। সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের বিরুদ্ধেও গুমে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডিজিএফআই ও এনএসআই মূলত গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। আইনগতভাবে কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করার এখতিয়ার তাদের নেই। অথচ এ সংস্থাগুলোর সদস্যরা যেভাবে আটক, অপহরণ ও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তা সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘনের শামিল। এটি দেশের আইন ব্যবস্থায় সমান্তরাল অবৈধ শক্তি গড়ে ওঠার ইঙ্গিত দেয়।

তদন্ত কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনেক ক্ষেত্রেই নিজ কার্যপরিধি বা দায়িত্বের সীমা এবং নিয়মনীতি (এসওপি) অমান্য করে অভিযান চালিয়েছে। এটিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে গুমের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রতিটি বাহিনীর ভূমিকা বিশ্লেষণ করে তুলে ধরা হয়েছে।

টিকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ক্যান্সারের আক্রান্ত দীপিকা, ১৪ ঘণ্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচার Jun 07, 2025
img
দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব: হাসনাত আব্দুল্লাহ Jun 07, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৬ জন Jun 07, 2025
img
'একান্তই যদি কাউকে কষ্ট দিতে চান, তবে তাকে হাসির পাত্র বানিয়ে দিন' Jun 07, 2025
img
দেশকে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে: ইশরাক Jun 07, 2025
img
স্টেজ শো-তে ব্যস্ত, দেশ-বিদেশে ছুটছেন মিষ্টি জান্নাত Jun 07, 2025
img
এবার ঈদে এফডিসিতে হয়নি কোনো কোরবানির আয়োজন Jun 07, 2025
img
ঈদের দিনেও ঢামেকে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত নার্স-চিকিৎসকরা Jun 07, 2025
img
ঈদে স্বর্ণের দামে স্বস্তির হাওয়া Jun 07, 2025
img
তোমার সব কিছুই যত্নে রেখেছি মা : আরিফিন শুভ Jun 07, 2025
img
নরওয়ের কাছে হেরে বিশ্বকাপ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ইতালি Jun 07, 2025
img
১২ ঘণ্টার মধ্যেই সকল বর্জ্য অপসারণ করার চেষ্টা চলমান: আসিফ মাহমুদ Jun 07, 2025
img
মেসির শৈশবের ক্লাবের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ, সমালোচনার মুখে কর্তৃপক্ষ Jun 07, 2025
img
নতুন দল নিয়ে রাজনীতিতে ইলন মাস্ক! Jun 07, 2025
img
সৌদি অ্যাকশন ছবিতে বলিউড সুপারস্টার সালমান-সঞ্জয় Jun 07, 2025
img
ফ্রেঞ্চ ওপেনে বিদায়ের ইঙ্গিত দিলেন জোকোভিচ Jun 07, 2025
img
নীল পোশাকে ঈদে মুগ্ধতা ছড়ালেন মিম Jun 07, 2025
img
ঈদে ১৩২টি হলে 'তাণ্ডব', অন্যান্য সিনেমার হলচিত্র কেমন? Jun 07, 2025
img
১০ বছরের লড়াইয়ের পর, প্রধান চরিত্রে দেবলীনা Jun 07, 2025
img
প্রবাসে ঈদ উদ্‌যাপন, নিজের গ্রামকে মিস করেন জায়েদ খান Jun 07, 2025