গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) টেসলার সিইও ইলন মাস্ক ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডার জেরে টেসলার শেয়ারের দাম ১৭% কমে গিয়েছে।
সম্প্রতি মাস্ক ট্রাম্পের নতুন কর বিলকে ‘জঘন্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন। জবাবে ট্রাম্প মাস্ককে ‘পাগল’ বলে আক্রমণ করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘মাস্কের কোম্পানি টেসলা, সরকারি ভর্তুকির ওপর নির্ভর করে চলে এবং সেটা বন্ধ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমি সবসময় অবাক হয়েছি কেন বাইডেন ওর সরকারি সুবিধাগুলো বন্ধ করেননি।’
মাস্ক এক্স (পূর্বের টুইটার) এর একটি পোস্টে ট্রাম্পের বিল নিয়ে মন্তব্য করেন। অন্যদিকে, ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে মাস্ক ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকেল) কিনতে বাধ্য করার মতো ম্যান্ডেট চালু করেছিলেন যা তিনি (ট্রাম্প) বন্ধ করে দিয়েছেন। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে।
ইলন মাস্ক, যিনি একসময় ট্রাম্পের বড় সমর্থক ছিলেন এখন ট্রাম্পের বিরোধিতায় মুখ খুলেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘একসময় আমাদের দারুণ সম্পর্ক ছিল, এখন আর জানি না সেটা থাকবে কিনা। আমি খুব হতাশ।’
টেসলার শেয়ারের দামে এই বিরোধের সরাসরি প্রভাব পড়েছে।
ইউরোপ, চীন ও ক্যালিফোর্নিয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতেও এই প্রভাব ছড়িয়েছে। এক্সপার্টরা বলছেন, মাস্কের রাজনৈতিক অবস্থান বদলানোর ফলে, কখনও ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে আবার কখনও তাঁর বিরোধিতা করে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
একজন শেয়ার বিশ্লেষক ডেনিস ডিক বলেন, ‘ইলনের রাজনৈতিক আচরণ টেসলার স্টকের ক্ষতি করছে। আগে তিনি ট্রাম্পের পাশে ছিলেন, এখন তিনি তাঁর বিরুদ্ধে।’ শুধু টেসলা নয়, মাস্কের অন্যান্য ব্যবসা যেমন স্পেসএক্স ও স্টারলিংক-ও তার রাজনৈতিক সংযোগের কারণে সরকারি তদন্তের আওতায় এসেছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় সরকারি অনুমোদন পায়, যা মাস্কের প্রভাবের কারণে সহজ হয়।
মোট হিসেব অনুযায়ী, ২৭ মে থেকে টেসলার শেয়ার ১২% কমেছে। যদিও টেসলা এখনও বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি, যার বাজার মূল্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। যা টয়োটার (২৯০ বিলিয়ন ডলার) তুলনায় অনেক বেশি।তবে এই বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত টেসলার শেয়ারে ২২% পতন হয়েছে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
টিকে/টিএ